তিন বছর পর চেনাছন্দে দেখা গেল পার্কস্ট্রিটকে। করোনার♒ আতঙ্ক মনের মধ্যে উঁকিঝুকি মারলেও তাকে কার্যত উপেক্ষা করেই পথে বেরিয়ে পড়েছেন মানুষ। শনিবার༺ বিকেল থেকেই ভিড় নজর এল আলোকমালা সজ্জিত পার্কস্ট্রিটে। নিরাপত্তার চাদরে কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা।
বিকাল চারটে থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে পার্কস্ট্রিটে। সন্ধে পরিয়ে রাত বাড়তেই ভিড় বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। রাস্তা জুড়ে আলোকমালা মনে করিয়ে দেয় দুর্গাপুজোর শহরকে। কারোনার চিন্তা ভুলে মাস্কা ছাড়াই পথে জনস্রোত। সেই জনস্রোতে রয়েছে সব বয়েসের মানুষ। ব্যারাকপুর থেকে আসা স্বর্ণালী ঘোষের (২৮) কথায়, ' তিন বছর পর ফের পার্কস্ট্রিটে এলাম। দারুণ লাগছে। দশটা অবধি ঘোরাফেরা করব। তার পর খাওয়াদাওয়া করব। রাতে ক্রিসমাস ইভের উৎসব দেখবো।' চিনের করোনার খবর আতঙ্কিত নন কেউই। মাথায় সান্তা টুপি থাকলেও মুখে মাস্ক ছিল না অধি❀কাংশের। কেরালা থেকে কলকাতা বেড়াতে আসে এক দম্পতি জানালেন, মনের কোণে ভয় থাকলেও এখনও মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করছেন তাঁরা।
বড়দিন উপলক্ষে পার্কস্ট্রিটে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আঁটোসাটো করতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। রাস্তা জুড়ে একাধিক ওয়াচটাওয়ার করা হয়েছে। যে কোনও রকম নাশকতা এড়াতে পার্কস্ট্রিট সংলগ্ন এলাকাকে ১১টি সেক্টরে 🐷ভাগ করা হয়েছে। প্রতি সেক্টরে দু'জন করে ইনস্পেকটর পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন ডিসি সাউথ মাঘারিয়া। রাতভর থাকছে অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা। বাইক রাখা🌃র জন্য আলাদা পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া থাকছে দুটি কুইক রেসপন্স টিম এবং ১৫টি পুলিশ সহয়তা কেন্দ্র।
বেলুড়েও অনুষ্ঠিত হল যিশুপুজো
চিরচরিত রীতি মেনে বেলুড়মঠে অনুষ্ঠিত হল যিশুপুজো। প্ꦚরতি বছরের মতো এবারও বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় যিশুপুজোর। সন্ধ্যারতির পর মূল মন্দিরের ডানদিকে যিশুর ছবিতে ফুল মালা, কেক., পেস্ট্রি, চকলেট দিয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়। মঠের সন্ন্যাসীরা ক্যারল গান যিশুর সামনে।
করোনার কারণে গত দু'বছর পুজো হলেও মঠের দরজা বন্ধ ছিল ﷺসাধারণ ভক্তদের জন্য। কিন্তু এ বার দরজা খোলা থাকায় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। পুজো শেষে ভক্তদের হাতে কেক-মিষ্টি তুলে দেওয়া হয়।