দুর্গাপুজো পর্যন্ত সময়সীমা ছিল। বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ এপারে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেটা হল না। কারণ দুর্গাপুজোর♒ বেশ কিছুদিন আগেই পদ্মার ইলিশ আমদানি বন্ধ হয়꧃ে যায়। ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, দুর্গাপুজোয় যখন হয়নি তখন নিশ্চয়ই কালী পুজো অথবা ভাইফোঁটায় বাংলার বাঙালির পাতে পদ্মার রুপোলি শস্য তুলে দিতে পারবেন। এবারও হতাশ হলেন। কারণ শেখ হাসিনা সরকার সূত্রে খবর, এখন ইলিশ মাছের ডিম ছাড়ার সময়। তাই বাংলায় পদ্মার ইলিশ পাঠানো বন্ধ আছে। সুতরাং ভাইফোঁটাতেও বোনেরা ভাইদের পাতে পদ্মার ইলিশ তুলে দিতে পারবেন না। পরিবর্তে চিংড়ি–সহ অন্যান্য মাছে ঝুঁকছেন দিদি–বোনেরা।
এদিকে ভাইফোঁটায় ইলিশ মাছ রান্না করে ভাইদের পাতে তুলে দেওয়ার রেওয়াজ বহু দিনের। তার মজাটাই আলাদা। ইলিশের স্বাদ পেতে মুখিয়ে থাকেন দাদা–ভাইরা। দিদি বা বোনেরা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন ভাইফোঁটায় একাধিক পদ রান্না করে খাওয়াবেন। সেখানে পদ্মার ইলিশের স্বাদ তুলে দিতে পারলে আনন্দই আলাদা। কিন্তু এখন সে উপায় নেই। কারণ ভাইফোঁটায় সেই আশায় জল ঢেলে দিল বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত।💮 ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এপারে ইলিশ আসার অনুমতি দিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। কিন্তু এই সময়সীমার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় ই𒈔লিশ মাছ পাঠানো।
অন্যদিকে মোট ৩,৯৫০ ট🦩ন পদ্মার ইলিশ এপারে আসার কথা ছিল। সেখানে মাত্র ৫৬০ টন পদ্মার ইলিশ আমদানি করতে পে🌺রেছে এপারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। ১১ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকার জানিয়ে দেয়, ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ। আর তাতেই হতাশ হয়ে পড়ছেন আমবাঙালি। তার জেরেই ভাইফোঁটায় ভাই–দাদাদের পাতে বোন–দিদিরা পদ্মার ইলিশ তুলে দিতে পারবেন না। যদি আবার সময়সীমা বাড়ায় বাংলাদেশ তাহলেই একমাত্র সম্ভব। আর ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর, যেটুকু ইলিশ এবার এসেছিল সেসব চড়া দামে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাই হিমঘরেও পদ্মার ইলিশ মেলার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন: ‘বালুকে শ্মশানের ඣদায়িত্ব দিলে কঙ্কাল বিক্রি করে খেয়ে🎀 নেবে’, চরম কটাক্ষ অধীরের
আর কী জানা যাচ্ছে? পেট্রাপোলের কয়েকজন ব্যবসায়ী সূত্রে খবর, এবার ভাইফোঁটায় পদ্মার🗹 ইলিশ মাছ আর মিলবে না। কারণ এখন ইলিশ মাছের ডিম ছাড়ার মরশুম। তাই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে। এখন যেসব ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে সেগুলি মায়ানমারের। এই মায়ানমারের ইলিশ মাছের দর গড়ে দেড় হাজার টাক𒆙া কেজি। তবে পদ্মার ইলিশ মাছ এবার তেমন এপারে আসেনি। তাই ভাইফোঁটায় অন্য মাছ দিয়েই কাজ চালাতে হবে দিদি–বোনেদের।