রাজ্যে শীতটা জাঁকিয়ে পড়েছে। কলকাতায় ১০ ডিগ্রিতে নেমেছে পারদ। তার জেরে মানুষজনের এখন জবুথবু অবস্থা। এই পরিস্🦂থিতিতে আলিপুর সিবিআই আদালতে বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ১൩৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করা হলে আলিপুর সিবিআই আদালত ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আসামী পক্ষের আইনজীবী পার্থর জামিনের আবেদন নিয়ে সিবিআই বিচারক অর্পণ কুমার চট্টোপাধ্যায়কে জানান।
এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর আইনজীবীকে সমস্যার কথা বলতে বলেন। তবে এই মামলায় সিবিআইয়ের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তর আল꧃োচনা হওয়ায় সমস্⛦যাটি তুলে ধরা যায়নি। তাতে বিরক্ত হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখন শীতে তিনি বেশ কাবু হয়ে পড়ছেন। জেলে ঠাণ্ডা আরও বেশি করে অনুভব করছেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বয়স প্রায় ৭০। তাই জেলে একটু ঠিকঠাক অবস্থায় থাকতে চান তিনি। তার জেরে জামিন অথবা জেলে খাটের আবেদন করতে বলেছিলেন পার্থ আইনজীবীকে।
অন্যদিকে এই প্রচণ্ড শীꦡতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মেঝেতে বিছানা করে ঘুমোতে হচ্ছিল। একটা খাটিয়া পাওয়া গেꦛলেও তাতে ঠাণ্ডা আটকাচ্ছে না। তাছাড়া এমন জীবনযাপনে তিনি অভ্যস্ত নন। ওই আইনজীবী প𝕴রে সুযোগ বুঝে আদালতের কাছে আবেদন করেন📖 যে, তাঁর মক্কেলকে জেলে যেন একটি খাট দেওয়া হয়। খাটে শুলে ঠাণ্ডা অনেকটা মোকাবিলা করা যাবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? পার্থর আইনজীবীর বিচারক এই আবেদন শোনার পর জানান, তাঁর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। যদি জেলের নিয়মে খাট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে তাহলে সেই খাটের জন্য সুপারিশ করতে পারেন। আর আইনজীবীকে পা𒆙র্থ বলেন, ‘বয়স হয়েছে শীতে খাটের প্রয়োজন’। এরপর জেলে আবেদন করেন পার্থের আইনজীবী। এমনকী সূত্রের খবর, পার্থ নিজেও জেলে আবেদন করেছেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। এই শীতে তাই একটা খাটের প্রয়োজন ছিল।’ তবে জেল কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।