পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে–জামাইকে ই–মেল করে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন মেয়ে–জামাইকে তলব? তাঁরা কী ভাবে জড়িত? শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এমন এক সংস্থার কথা টেনে এনেছে ইডি, যাঁর বর্তমান মালকিন অর্পিতার হলেও, একদা সেই সংস্থার মালিকানা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে–জামাইয়ের। এই তথ্য আদালতে দেওয়া হলেও এখন তার প্রমাণ জোগাড় করতেই মেয়ে–জামাইকে তলব বলে মনে করা হচꦯ্ছে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? ইডি সূত্রেไ খবর, এই সংস্থার নাম অনন্ত টেক্সফ্যাব। আর এই সংস্থার ঠিকানা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার সেই ফ্ল্যাট। যে ফ্ল্যাট থেকে ২৮ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এমনকী কয়েক কোটি টাকার সোনাও উদ্ধার হয়েছে। ওই ফ্ল্যাট অর্প🦹িতা মুখোপাধ্যায়ের নামেই রয়েছে। আর সেখানের সংস্থায় অতীতে সোহিনী–কল্যাণময় ভট্টাচার্যের নাম জড়িয়ে রয়েছে। আবার সেই সংস্থা পরে হস্তান্তর হয়েছে। এই বিষয়টি জানতেই তাঁদের তলব করেছে ইডি।
কী তথ্য পেয়েছে ইডি? ইডির তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে এই অনন্ত টেক্সফ্ꦦযাব সংস্থার মালিকানা একসময় ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে–জামাইয়ের নামে। যদিও এখন ওই সংস্থার মালিকানা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামেই রয়েছে। এমনকী ১০০ শতাংশ শেয়ার অর্পিতারই। সংস্থার ১৫ হাজার শেয়ারের মধ্যে ১২ হাজার ৭৫০ টি শেয়ার রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। যদিও এই স𒈔ংস্থাটি ভুয়ো বলে তথ্য পেয়েছে ইডি। আর এখানের বাকি শেয়ার অর্পিতার প্রযোজনা সংস্থা ‘ইচ্ছা এনটারটেনমেন্ট’–এর 🔴নামে রয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই সংস্থা সম্পর্কে পার্থর মেয়ে–জামাই কতটা জানেন তা জানতে চাইছে ইডি। তাঁরা সক্রিয় ছিলেন নাকি স্লিপিং পার্টনার ছিলেন সেটাও জানতে চায় ইডি। কোনওভাবে তাঁদের কাছে কালো টাকা গিয়েছে꧃ কিনা তা জানতেই ই–মেল করা হয়েছে। আবার সংস্থার সম্পূর্ণ মালিকানা অর্পিতার হলেও কয়েক বছর আগে মালিকানা ছিল প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়দের নামে বলে জানতে ♋পেরেছে ইডি। এই গোটা জালটি ছাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন ইডির অফিসাররা।