কথায় আছে বাঙালির নাকি পায়ের তলায় সর্ষে। একবার কোনও উপলক্ষ্য পেলেই মনে হয়, এবার বেড়িয়ে আসি। তবে অতিমারির সময় সেই বেড়ানোর প্রবণতা ক্রমেই কমছিল। তবে বর্তমানে বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার জন্য উৎসাহ আরও বাড়ছে বলে খবর। অতিমারির সময় কলকাতা থেকে বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারটা একেবারে কার্যত স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। অনেকেই এনিয়ে উৎসাহ হারান। তবে বর্তমানে কোভিডের সেই দাপট অনেকটাই কমেছে। ফের বিদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা করছেন অনেকেই। বিদেশে যাওয়ার প্রতি কলকাতার বাসিন্দাদেরও উৎসাহ কম কিছু নয়।এদিকে গ্রীষ্মকালীন সময়ে বিদেশে যাওয়ার প্রতি কলকাতাবাসীর অনেকেরই উৎসাহ থাকে। আমেরিকা, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি সহ বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ যথাযথ করার জন্য স্টাফের সংখ্য়া ক্রমেই বৃদ্ধি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, VFS গ্লোবাল ভারতে অন্তত ৫২টি দেশের জন্য তারা ভিসা প্রসেস করে। তাদের কাজের চাপ এতটাই বেশি যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ লোকজন বৃদ্ধি করা হয়েছে। চুক্তির ভিত্তিতে সেই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে ভিএফএস ইতিমধ্যেই ভিসা অ্য়াট ইউর ডোরস্টেপ চালু করেছে। সূত্রের খবর, গত বছর কলকাতা থেকে অন্তত ২ লাখ ভিসার আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, VFS গ্লোবাল সাউথ এশিয়া প্রধান বিশাল জয়রথ জানিয়েছেন, আমরা এবার সেই অতিমারির আগের যে ভিসার আবেদন জমা পড়ত তার থেকে এবার আরও বেশি হবে। আমাদের এই চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা লোকজনও বৃদ্ধি করেছি। এদিকে মার্কিন ভিসার অ্যাপয়ন্টমেন্ট পেতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেও অনেকটা সময় লাগত , বর্তমানে সেটাই কমিয়ে ৮-৯ মাস লাগছে। গত বছর মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ১.৪ মিলিয়ন ভিসা ইস্যু করেছিল বলে খবর। অন্যদিকে ফ্রান্স ও জার্মানির মতো দেশে এই ভিসা পাওয়ার সময় আগের থেকে অনেকটাই কমে গিয়েছে।জয়রথ জানিয়েছেন, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইটালির ভিসা পেতে আগে কিছুটা টেকনিকাল সমস্যা ছিল। গত বছরও এটা ছিল।কলকাতার ক্ষেত্রে ইটালিয়ান কনস্যুলেট একেবারে ওয়াক ইন আবেদনের ব্য়বস্থা করেছিল। কানাডা , ইংল্যান্ডের জন্য ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাঁচদিনের মধ্য়ে পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবার আবার সৌদি আরব যাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের মধ্য়ে প্রবল উৎসাহ রয়েছে। সেকারণে সেদিকটাও দেখা হচ্ছে বিশেষভাবে।