সল্টলেকে দুর্ঘটনায় স্কুল পড়ুয়ার মৃ্ত্যু। অত্যন্ত উদ্বেগের ঘটনা। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে মায়ের সঙ্গে স্কুটিতে চেপে ফিরছিল ওই চতুর্থ শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্র। সল্ট লেকের ২ নম্বর গেটের কাছে দুটি বাসের মধ্য়ে রেষারেষি চলছিল। সেই সময়ই সল্টলেক-হাওড়া রুটের একটি ব💟াসের ধাক্কায় মারা যায় ওই স্কুল ছাত্র। আয়ুষ পাইক নামে ওই ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় শোক♑ের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তিনি পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে ফো𝓡ন করেন বলে খবর।স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে এর আগেও এই ধরনের দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বাইপাসে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।&𝓰nbsp;
এদিকে সল্টলেকের এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তিনি ফোন করেন পরিবহনমন্ত্রীকে । এরপরই বৃহস্পতিবার তড়িঘরি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকেন পরিবহনমন্ত্রী। মূলত দুর্ঘটনা রুখতে প্রয়োজনীয় আর কী কী ব্য🅺বস্থা নেওয়া যায় সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে ওই মিটিংয়ে।&nb𓃲sp;
এদিকে দুর্ঘটনার জেরে ওই স্কুল পড়ুয়ার মা-ও জখম হয়েছেন। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরেই স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ꧋কেন এভাবে বাসের রেষারেষি রোজকার ঘটনা হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
তবে এবারই প্রথম নয়। কলকাতা শহরে এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের দুর্ঘটনা হয়েছে। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্কুল পড়ুয়ার। তারপর কয়📖েকদিন সেই মৃত্যুকে ঘিরে কি🐟ছুটা চর্চা হয়। তারপর সেই একই ঘটনা! বাসের রেষারেষি দেখে বাংলা।
তবে কেবলমাত্র কলকাতায় নয়, শহরতলিতেও একই ছবি। কলকাতা থেকে বালিগামী যে বাসগুলি যায় সেখানেও চরম রেষারেষ🎀ি চলে। কার্যত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী তোলা হয়। এমনকী যাত্রী নামানোর সময়তেও সময় দেওয়া হয়না। যে কোনও সময় এর জেরে দুর্ঘটনা হতে পারে। কিন্তু এসব দেখবে কে?
এদিক𓂃ে সল্টলেকের দুর্ঘটনার পরেও বাসিন্দা꧑দের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে।
এক মহিলা বলেন, ‘পুলিশ শুধু টাকা চেনে। টাকা দিলেই সব হয়ে যাবে।’ অপর এক যুবক অভিযোগ করেন, ‘যখন অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল, তখন পুলিশ বাস ও 🌃ড্রাইভারকে নিয়ে চলে গেল। বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। তখন মায়ের সঙ্গে একটা পুলিশও ছিল না।’