ভিডিয়ো জটে নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পরেও কালীঘাটে বৈঠক শুরু হল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের বাইরে প্রায় দু'ঘণ্টা অপেক্ষা করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বাড়ির মধ্যেই অপেক্ষা করতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষপর্যন্ত বাড়িꦫ থেকে বেরিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। 'হাতজোড়' করে জুনিয়র ডাক্তারদের বৃষ্টিতে না ভেজার অনুরোধ করেন। তিনি জানান যে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য তো ছাতার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রয়েছে বসার🔯 জায়গা। মমতার কথায়, ‘তোমরা ভিজবে না। এটা অনুরোধ রইল। তোমাদের জন্য জায়গা আছে তো।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈঠক না করলে অন্তত এক কাপ চা খেয়ে যাও তোমরা। ভিজ না তোমরা। তোমাদের অসুখ করলে আমার খারাপ লাগবে।’
সেই ভিডিয়ো নিটে জট
শনিবার সন্ধ্যা ছ'টায় কালীঘাটে ♏মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের জন্য জুনিয়🐻র ডাক্তারদের আমন্ত্রণ জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত। সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট নাগাদ কালীঘাটে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সূত্রের খবর, সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিট থেকে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভিডিয়ো জটের জেরে নির্ধারিত সময় বৈঠক শুরু করা হয়নি। দফায়-দফায় রাজ্য সরকার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে আলোচনা হলেও সেই জট কাটেনি।
জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেন যে তাঁরা ব🐼ৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি তুলেছেন। কিন্তু মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত জানান যে এটা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন হওয়ায় লাইভস্ট্রিমিং করা সম্ভব হয়। দফায়-দফায় আলোচনা করেও জট কাটেনি। কয়েক দফায় আলোচনা করেও সমাধানসূত্র না মেলায় ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রাখার প্রস্তাব দেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
লাইভস্ট্রিমিং না বলে ভিডিয়ো করা হোক, দাবি ডাক্তারদের
তাঁরা দাবি করেন, কালীঘাটে দু'জন ভিডিয়োগ্রাফারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাই রাজ্যকে প্রস্তাব 🎐দেওয়া হয় যে প্রশাসনের তরফে আলাদা করে ভিডিয়োগ্রাফি করা হোক। আর তাঁরাও আলাদাভাবে ভিডিয়ো করবেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবেও রাজ্য সরকার রাজি হয়নি বলে দাবি করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকী রাজ্য সরকারের তরফে যিনি ভিডিয়ো 🅺করবেন, তাঁর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিকে রাখারও প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রাজ্য সরকারের তরফে বারবার সওয়াল করা হচ্ছিল যে শুধুমাত্র তারাই ভিডিয়ো করবে।
মমতার বার্তা
তারইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। কথা বলেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। তিনি জানান যে সুপ্রিম কোর্টে এখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় এখন মামলা চলছে। তাই এখন ভিডিয়ো প্রকাশ করা যাবে না। তাঁর উপরে আস্থা-ভরসা রাখার আর্জি জানিয়ে মমতা জানান যে আপাতত রাজ্যের তরফে ভিডিয়ো করে রাখা হবে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে কোনওরকম হেরফের ছাড়াই জুনিয়র ডাক্তারদের হাত🅰ে তুলে দেওয়া হবে সেই ভিডিয়ো। আর বৈঠকের কার্যবিবরণী রাখা হবে। তাতে রাজ্য সরকারের আমলা এবং জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করবেন।