প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহর থেকে জেলায় অভিযান চলছে।꧒ টাস্ক ফোর্স রাস্তায় নেমে ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। দাম কমাতে হবে শাক–সবজি থেকে আলু–পেঁয়াজের। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শিয়ালদা, মানিকতলা, লেক মার্কেট, গড়িয়াহাট মার্কেট থেকে শিলিগুড়ির বাজারে আলুর দাম কমেনি। আজ, বুধবারও কেজি প্রতি ৩৫ টাকার নীচে আলু মিলছে না। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে কড়া দাওয়াই দিয়েছিলেন। ভিন রাজ্যে আলু রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও আলুর দাম কমেনি।
শুধু শহরে নয় গ্রামবাংলাতেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। গত শনিবার শিলিগুড়ি প🌜ুরসভায় টাস্কফোর্স এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। আর ওই সভায় মহকুমাশাসক ৩০ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি করার কথা বলেন ব্যবসায়ীদের। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নানা খরচের হিসেব দেখিয়ে জানিয়ে দেন, ৩০ টাকা কেজি আলু বিক্রি করা সম্ভব নয়। তখন ৩২ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করার কথা দিয়েছিলেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। য🐼েখানে শহর হোক বা গ্রাম এখন সুফল বাংলার স্টলেই ৩২ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে। সুতরাং দাম যে আলুর কোনওভাবেই কমছে না সেটা এই দৃশ্যে স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: জেলমুক্তির পরে জঙ্গলমহলে ফিরেছেন ছত্রধর, দলে ফিরলেন না! দূরত্ব তৈরি হল কেন?
আলু ৩৫ টাকা কেজি থেকে যে নামছে না সেটা টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা বাজারে গিয়ে দেখতেই পাচ্ছেন। তাহলে মানুষের লাভ কী হল? মধ্যবিত্ত মানুষের আশা ছিল নতুন আলু বাজারে এলে জোগান বাড়বে। আর তখন দাম কমবে। কিন্তু নতুন আলুর দামই তো ৪০ টাকা। দাম সেক্ষেত্রে কমছে না। আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে এখন জনগণ ক্ষেপে আছেন। শীত পড়ে গেলেও শাক–সবজির দাম কমেনি। তার উপরℱ আলুর দাম দীর্ঘদ💙িন ধরে উর্দ্ধমুখী। নতুন আলু বাজারে উঠলেও জোগান কম। জ্যোতি আলু ৩২ টাকা কেজি দরে কিনছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। তাই বাজারে বেচছেন ৩৫ টাকা কেজি দরে। তাই দাম আকাশছোঁয়াই থাকছে।