জেলে বসে টাকা চেয়ে হুমকি ফোন করা হচ্ছে। আর সেই টাকা না পেলে বাড়িতে ঢুকে বুঝে নেওয়া হবে বলেও হমকি দেওয়া হচ্ছে। এই খবর পেয়😼ে লালবাজার কর্তাদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সি জেলের বিচারাধীন বন্দি সুশান্ত কীর্তনিয়া–কে নিজেদের হেফাজতে নেন লালবাজারꦚের গোয়েন্দারা।
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? লালবাজার সূত্রে খবর, যাদবপুর এলাকার এক মহিলা বাসিন্দা বাড়ি মেরামত করছিলেন। আর ওই মহিলাকে ফোন করে ১ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। না দিলে হুমকি দেওয়া হয়। এই বিষয়ে একটি অভিযোগও দায়ের হয়। এমন হুমকি ফোন প্রেসিডেন্সি জেলের ভিতর থ♏েকে আরও কয়েকজনের কাছে গিয়েছে। তাতেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর।
কে এই সুশান্ত কীর্তনিয়া? পুলিশ সূত্রে খবর, সুশান্ত জেলে বসে ফোন করে টাকা চেয়ে হুমকি দিত। তাই তার নামে অভিযোগ দায়ের হয়। ২০২০ সালের ১🌳৬ মার্চ পঞ্চসায়র থানা এলাকায় খুন হন বিশ্বরূপ দাস নামে এক প্রোমোটার। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল সুশান্ত কীর্তনিয়াকে। তারপর থেকেই জে💮লে বসে টাকার জন্য নানা মানুষকে হুম൩কি দিত। অজয় নগর, বিবেকানন্দ পার্ক, সার্ভে পার্ক এলাকায় মোটরবাইক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াত সুশান্ত এবং তার দলবল। দালালি, সাটটা খেলা, তোলাবাজি করত।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই এলাকায় মারধর করা নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিশ্বরূপ দাসের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল এই সুশান্তকে। জেলের ভিতরে সে মোবাইল নিয়ে এসে হুমকি ফোন করার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন 🐟উঠে গেল। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত শুরু করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।