সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার। সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে রাজীব কুমার জানিয়েছেন, শুনুন, যারাই আইন ভেঙেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যারাই আইন ভেঙেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। একেবারে সংক্ষিপ্ত উত্তর দেন রাজীব কুমার।সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে নেমেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও ছিলেন। আর তখনই ইডির আধিকারিকদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। একেবার রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। কোনওরকমে প্রাণ হাতে করে ফিরে আসেন তাঁরা। তারপর থেকেই বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। এদিকে শেখ শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়ে আগেই কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।তবে শেষ পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের তরফে ডিজিপি মুখ খুললেন গোটা ঘটনায়।এদিকে শাহজাহান কি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে? তানিয়েও গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে তার মধ্য়েই একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেটা শাহজাহানের বলে দাবি করা হচ্ছে।সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমি শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালির সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বাসিন্দার কাছে অনুরোধ কেউ আমার এলাকায় অঞ্চল ও যুব সভাপতি ও মহিলা সভানেত্রী যারা আছেন, সমস্ত অঞ্চল প্রধান, বুধ সভাপতি, বুথ কর্মী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক যারা আছে। সবার কাছে আমার অনুরোধ, সিবিআই – ইডি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। ওরা আমাকে দমাতে পারলে মনে করছে সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেসটা দুমড়ে যাবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার মতো হাজার হাজার শেখ শাহজাহান আছে। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে আমার আপনার সবার জন্য করেছে। সেই জায়গায় আমরা সবাই মানুষ। আমাদের মৃত্যু যে সত্য সেটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। সবার কাছে করজোড়ে অনুরোধ করব, মনুষত্ব বিসর্জন দিয়ে কোনও ধর্ম কাজে আসে না। মৃত্যু একদিন হবে সবার তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগে আর পরে’।শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালাতে গিয়ে শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছিল ইডি। বাংলায় নিযুক্ত ইডি আধিকাকরা ঘটনা প্রসঙ্গে দু'টি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। এই জোড়া রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে। আর এসবের মাঝেই ইডি দাবি করল, যখন আধিকারিকরা শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁর বাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করছিলেন, সেই সময়কার মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতার ফোন ছিল তাঁর ঘরেই। এই আবহে ইডি সন্দেহ প্রকাশ করে দাবি করছে, ইডির ওপর ৮০০ থেকে ১০০০ জনের হামলার নেপথ্যে শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের উস্কানি ছিল।