এবার বড় অভিযানে নামতে চলেছে খাদ্য দফতর। রেশন থেকে যে গম চুরি হচ্ছে তা যাচ্ছে কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বড় অভিযানে নামতে চলেছে খাদ্য দ📖ফতর। বিপুল পরিমাণে চুরি যাওয়া গমের হদিশ পেতেই এমন উদ্যোগ বলে সূত্রের খবর। এখন রাজ্য–রাজনীতিতে রেশন দু꧋র্নীতি বড় আকার ধারণ করেছে। কারণ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। খোলা বাজারে রেশনের গম বিক্রি হচ্ছে বলে এখন অভিযোগ উঠেছে। তাই মাথাকে পাকড়াও করতে আটাকল, হোলসেলার, পাইকারি ব্যবসায়ী, মুদির দোকান, চাকিকলে হানা দিতে তৈরি হয়েছে খাদ্য দফতরের বিশেষ পরিদর্শক দল।
এদিকে এসব কাজ করে ধরা পড়লে জেল–জরিমানা হতে পারে। তেমনই নির্দেশিকা জারি করেছে খাদ্য দফতর। 🍰খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, ঠিকঠাক অনুসন্ধান করলেই অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই নাম উঠে আসে বাকিবুর রহমানের। এই রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে বাকিবুর। বাম জমানা থেকে এই দুর্নীতি হয়ে আসছে। বাকিবুর তখন থেকেই জড়িত। এখন খাদ্য দফতর দেখতে চাইছে বাকিবুরের মতো আর কতজন এমন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এরা রেশনের গম বেশি দামে খোলা বাজারে বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করছে।
অন্যদিকে যারা খোলা বাজারে গম বিক্রি করে মুনাফা করছে বা যে আটাকলগুলির মালিক গম ভাঙিয়ে আটা তৈরি করেন, তাঁরা ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে গম পেয়ে থাকেন। সেই গম মজুত রাখার পরিমাণ কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে প্রত্যেক মাসে হিসাব দ෴িতে হয়। এই নিয়ম অনেকে মানছেন না বলে অভিযোগ। এই গম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পেয়ে অনেকে মজুত রাখছেন। আর হিসাবে দেখাচ্ছেন নেই। সেই গম অনেক বেশি পরিমাণ তাঁরা খোলা বাজারে বিক্রি করছেন এবং মুনাফা ঘরে তুলছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কলকাতা এলেন লালুপ্রসাদ–তেܫজস্বী যাদব, আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক!
আর কী জানা যাচ্ছে? এই মজুত করা গম থাকা সত্ত্বেও আরও গম তাদের কাছে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই গম বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওই গম কোথা থেকে আসছে সেটা জানতে চায় খাদ্য দফতর। সুতরাং একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এই কাজ করেই চলেছেন বলে অভিযোগ। যা জানতে পেরেছে খাদ🥂্য দফতর। গমের স্টক মেলালেই অসাধু ব্যবসায়ী ধরা পড়বে বলে মনে করছে খাদ্য দফতর। তাই সমস্ত জায়গায় এখন নজরদারি টিম পাঠাতে বলা হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট কন্ট্রোলার ও ডেপুটি ডিরেক্টরদের (রেশনিং)। তাই তাঁদের রিপোর্ট পাঠাতে হবে খাদ্য দফতরের কাছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ মাসের এই ইনস্পেকশনের🌜 অনেকটা কাজ শেষ করার কথাও বলা হয়েছে।