রাতের আকাশে ফুটে উঠল রামের প্রতিকৃতি। হাতে তির-ধনুক। তারপর তির ছুড়লেন রাম। তা ধীরে-ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল। তারইমধ্যে আকাশে ফুটে উঠল♎ রাবণের প্রতিকৃতি। সেই তির এসে লাগল রাবণের গায়ে। সঙ্গে-সঙ্গে ‘রাবণ দহন’ হয়ে গেল। বুধবার এমনই অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কলকাতা। পার্ক সার্কাস ময়দানে সেই সাউন্ড অ্যান্ড লাইট শোয়ের আয়োজন করা হয়। সেজ𒆙ন্য ৬০০টি ড্রোন ব্যবহার করেন আয়োজকরা।
ড্রোন শোয়ের শুরুতে প্রাথমিকভাবে রাতের আকাশে ফুটিয়ে তোলা হয় রামের প্রতিকৃতি। পুজোয় যেমন লাইটিং হয়, সেরকমভাবেই লাইটিংয়ের মতো প্রাথমিকভাবে শুরুটা হয়। তারপর আচমকা রামের প্রতিকৃতি ফুটে ওঠে। তারপর রামের হাত থꦉেকে তির বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। একেবারে ধীরে-ধীরে যেতে যেতে উধাও হয়ে যায় তির। স্রেফ একটা আলোর বিন্দুতে পরিণত হয়। তারপর ধীরে-ধীরে রাবণের প্রতিকৃতি তৈরি হতে থাকে। রাতের আকাশে তৈরি হয়ে যায় রাবণের প্রতিকৃতি। ফের দেখা যেতে থাকে তির। সেই তির এসে রাবণের শরীরে আঘাত করে। সম্পন্ন হয় রাবণ দহন।
কারা সেই ড্রোন শোয়ের আয়োজন করেছে? দিল্লির টেক স্টার্ট-আপ বটল্যাব ডায়নামিকসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পার্ক সার্কাসের উদ্দীপনা ক্লাবের (৮৩ তম পার্ক সার্কাস সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আয়োজক) তরফে সেই ড্রোন শোয়ꦫের আয়োজন করা হয়ꦑ। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, ২২ মিটার উচ্চতায় সাউন্ড অ্যান্ড লাইট শো হয়েছে। পার্ক সার্কাস ময়দানের সাত-আট কিলোমিটার দূর থেকেও দেখা গিয়েছে সেই ড্রোন শো।
তবে সেই কাজটা মোটেও সোজা ছিল না। কারণ ড্রোন শো আয়োজ🍎নের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমোদনও মেলে। তারইমধ্যে রিহার্সাল চলতে থাকে। কয়েকদিন প্রস্তুতি চালান আয়োজকরা। নবমীতে চূড়ান্ত রিহার্সালের আয়োজন করা হয়। তারপর বুধবার ‘ফাইনাল শো’ হয়েছে। আর সেই ড্রোন শোয়ের আগে আয়োজক কমিটির এক সদস্য অর্জুন দাহাওয়ান বলেন, ‘আকাশে এরকম লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শোয়ের মাধ্যমে রাবণ দহন দেখানোর ঘটনা প্রথম। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে অনুমোদন পেয়েছিলাম আমরা।’