কেলেঙ্কারি নানা ধরনের হয়। কিন্তু বাংলার নিয়োগ দুর্নীতি যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ক্রমেই সামনে আসছে একের পর এক কৌশলের খবর। কলকাতা হাইকোর্টে সেই সংক্রান্ত কিছু কথা হাজির করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানির মাধ্যমে ওএমআর জালিয়াতি হয়েছিল। এমনকী এমনভাবে ওএমআর শিট করা হয়েছিল যাতে পরীক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের ওএমআর পরে চিনতে না পারেন।এমনকী সিবিআইয়ের আইনজীবী এই নিয়োগ দুর্নীতিকে একেবারে শকিং বলে উল্লেখ করেছেন। ওই কোম্পানির অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ওই রকম একটি কোম্পানিকে কেন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।এদিকে ২০১৮সালে সব ওএমআর ওড়িশার পেপার মিলে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে তদন্তে জানা যায়। আবার যে কর্মী ওই ওএমআর তৈরি করেছিলেন তাতে বোর্ডের কোনও অনুমোদন ছিল না।তবে অয়ন শীলকে জেরা করে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা এখনই সামনে আনা হচ্ছে না। তবে কোনও প্রার্থী যাতে পরে তাদের ওএমআর শিট চিনতে না পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।কার্যত পুরোটাই যেন গোলকধাঁধা। আবার একের সঙ্গে অপরের যোগও রয়েছে। সব মিলিয়েই যেন একের পর এক রহস্যের উন্মোচন হচ্ছে। তবে একেবারে সব দিকে খতিয়ে দেখে, যাতে আগামী দিনে ধরা না পড়ে কেলেঙ্কারি, সেভাবেই ছক কষেই ময়দানে নেমেছিলেন অভিযুক্তরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।এদিকে সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটা সংস্থায় অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় সেখান থেকে মূল মূল্যায়নপত্র পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায় আসল মূল্য়ায়নের যে নম্বর আর পর্ষদে চাকরিপ্রার্থীদের যে নম্বর উল্লেখ করা হয়েছিল তার মধ্যে বিস্তর ফারাক।সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের ওই সংস্থা ২০১৪ সালের প্রাথমিকে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র ও ওএমআর শিটের মূল্যায়নের দায়িত্ব পেয়েছিল। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ওই বরাত দিয়েছিল। এদিকে তদন্ত নেমে এজেন্সি জানতে পারে আসল ওএমআর শিটে যে নম্বর রয়েছে তার সঙ্গে পর্ষদে জমা পড়া নম্বরের বহু ফারাক রয়েছে। আসল খেলাটা ছিল এখানেই। এভাবেই আসল যে মূল্যায়নপত্র তার সঙ্গে পর্ষদে জমা পড়া নম্বরের ফারাক করা হয়েছিল। সেই ফারাকের নমুনা দেখে হতবাক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।