আরজি কর কাণ্ডের মামলায় কলকাতা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির তিন বিশেষজ্ঞের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হল শিয়ালদা আদালতে। উল্লেখ্য, গতকাল ছিল আরজি কর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সপ্তম দিন। প্রসঙ্গত, নানান বায়োলজিকাল প্রমাণের ভিত্তিতেই সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে সিবিআই। কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল ভিসেরার নমুনা সহ আরও নানা বায়োলজিকাল নমুনা। সেই সব নমুনা পরীক্ষা করা বিশেষজ্ঞদেরই ডাকা হয়েছিল গতকাল। প্রসঙ্গত, এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, নমুনা সংগ্রহের বেশ কয়েক দিন পরে তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই আবহে ফরেন্সিক ল্যাবের কর্মীদের সাক্ষ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। (আরও পড়ুন: বেলডাঙা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযত থাকতে 🍰বলল HC, BJP-র দাবি - ৪ জেলায় বন্ধ নেট)
আরও পড়ুন: সুশান্তের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক, কসবা কাণ্ডে এবা𒊎র 'সক্রিয়' অভিষেক? কী কথা হল দু'জনের?
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট ঘটে যায় আরজি করের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। এদিকে বায়োলগিকাল সব নমুনা কেন্দ্রীয় ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল ১৪ অগস্ট। এই সময়কালে বায়োলজিকাল নমুনা অদল বদল হয়ে থকতে পারে বলে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এদিকে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের একাধিক সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরাও। তার ভিত্তিতেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বলা হয়, রক্তের নমুনা নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে সংরক্ষণ করা না হলে ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রভাবিত হতে পারে। এই আবহে ঠিক কোন পদ্ধতিতে নমুনা সংরক্ষণ করা হয়, তা নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। (আরও পড়ুন: ১০ হাজার কোটির কেলেঙ্কারি... কস⭕বাকꦫাণ্ডের আবহে CBI চাইলেন কুণাল ঘোষ!)
আরও পড়ুন: কসবা মানেই তৃণমূলের অস্বস্তি!🌄 দলের 'প্রভাবশাল🌳ীর' বিরুদ্ধে নালিশ সুশান্ত ঘোষের?
এদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী ট্রেনি চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নয়া প্রমাণের খোঁজ শুরু করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের তদন্তকারী আ💞ধিকারিকরা। এহেন পরিস্থিতিতে ফের আরজি কর হাসপাতালের পাঁচটি ডিভিআর ও পাঁচটি হার্ডডিস্ক পরীক্ষার জন্য সিএফএসএলে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগেও আরজি কর হাসপাতালের একাধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষার জন্য সিএফএসএল-এ পাঠিয়েছিল সিবিআই। আর এবার এই ডিভাইসগুলি পাঠিয়ে সিবিআই জানতে চাল, চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতালের সার্ভ♉ার থেকে কোনও তথ্য মুছে ফেলা হয়েছিল কি না। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর তথ্য লোপাটের অভিযোগ উঠেছে টালা থানার তৎকালীন ওসি এবং আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। দু'জনেই আপাতত জেলে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার চার্জশিট দিতে পারে সিবিআই।
অপরদিকে, গত ৮ অগস্ট গভীর রাতে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গার ফুটেজ এবং অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির ফুটেজের আরও কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করছে সিবিআই🙈। এছাড়া সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোনের কল লিস্টের ফরেন্সিক রিপোর্ট মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এর থেকেই নাকি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এবং অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার সূত্র হাতে পেতে চাইছে সিবিআই।