কসবাকাণ্ডে কি জমির বিবাদের কারণেই কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুন করার ছক কষা হয়েছিল? এই নিয়ে তদন্ত জারি আছে। এরই মধ্যে এবার মুখ খুলে বিস্ফোরক সব মন্তব্য কুণাল ঘোষের। বাম জমানার কথা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, এই জমি নিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। তিনি এই জমি নিয়ে রেষারেষির ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর সাফ দাবি, কসবা এলাকায় এই জমি নিয়ে হানাহানির বীজ বপণ করা হয়েছিল বাম জমানাতেই। (আরও পড়ুন: কসবা মানেই তৃণমূলের অস্বস্তি! দলের 'প⛦্রভাবশালীর' বিরুদ্ধে নালিশ সুশান্ত ঘোষের?)
আরও পড়ুন: বেলডাঙা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া𒆙য় সংযত থাকতে বলল HC, BJP-র দাবি - ৪ জেলায় বন্ধ নেট
এই নিয়ে কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, 'একটা সময়ে সিপিএমের লোকাল কমিটির সম্পাদক গুরুপদ বাগচীকে তাদেরই দলের অন্য গোষ্ঠীর গুন্ডারা প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করেছিল। সেখানে একজন প্রোমোটারও গ্রেফতার হয়েছিলেন। এই বাড়ি, জমি, জমি দখলের মধ্যে সিপিএমের দুটো গোষ্ঠী জড়িয়ে গিয়েছিল। সিপিএমের সময়ই এই বীজ বপণ করা হয়েছে। এটার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সত্যজিত রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের আগে পড়ে ওই এলাকায় মৎস্য দফতরের অধীনে থাকা জলা জমি বাম জমানায় কীভাবে স্থলভূমি হয়ে গেল? পরের পর বাড়ি, পরের পর হাউজিং উঠেছে ওখানে। ওই জমানার কম করে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি আছে এর মধ্যে।' (আরও পড়ুন: সুশা🍸ন্তের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক, কসবা কাণ্ডে এবার 'সক্রিয়' অভিষেক? কী কথা হল দু'জনের?)
প্রসঙ্গত, সুশান্তের ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গুলজার সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় গুলশন কলোনির বাসিন্দা জুলকারের নামও সামনে আসছে। এই জুলকারের বিরুদ্ধে ১৫০-র বেশি অভিযোগ থাকলেও পুলিশ এর আগে কোনও পদক্ষেপ করেনি তার বিরুদ্ধে। তবে আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তিলজলা-তপসিয়ার এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির 'হাত' রয়েছে জুলকারের ওপর। যদিও জুলকারের নিজের দাবি, সেখানে জমি কিﷺনে তিনি নিজেই ঠকেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি। এই আবহে কসবা কাণ্ডে স্থানীয় সমীকরণ কতটা কাজ করেছে, তা 🔯নিয়ে ক্রমেই সন্দেহ বাড়ছে। এই আবহে অভিষেকের সঙ্গে সুশান্তের এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলে ধৃত গুলজার বলেছিল, 'সুশান্ত ঘোষ গুন্ডা। আমার জায়গা দখল করেছে, তাই মেরেছি। দু'হাজার স্কোয়ার ফুট জায়গা দখল করে নিয়েছিল হায়দার আলি। সে সুশান্ত ঘোষের গুন্ডা। সেই কারণেই তাকে গুলি করেছি।' পরে সুশানꦫ্ত জানান, গুলশন কলোনিতে পুর পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলি তাঁর হয়ে হায়দার দেখে থাকেন। এই গোটা ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে দাবি করা হচ্ছে, ইএম বাইপাসের আনন্দপুরে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল সুশান্ত ও গুলজারের মধ্যে। সুশান্ত ঘোষ সেখানে প্রোমোটিং করছিলেন। সেই সূত্রেই সুশান্ত ঘোষকে মের🔯ে ফেলার চক্রান্ত করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে গুলজারের বিরুদ্ধে। তবে এই সবের নেপথ্যে শুধুই জমি বিবাদ কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।