আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার সূত্র ধরেই ইতিমধ্যেই সামনে এসেছিল হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ। এবার সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বিষয়ক নথি চেয়ে স্বাস্থ্যভবনে চিঠি দিল সিবিআꦚই। আর তাতেই বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলি বলে সূত্রের খবর। কারণ এই নথি সিবিআইকে দিতে হলে তা এখন থেকেই প্রস্তুত করতে হবে। যা বেশ সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন কাজ।
🌼এই 🤪বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে রাজ্যের হাসপাতালগুলির সঙ্গে কোন কোন সংস্থার চুক্তি হয়েছিল তাও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। এমনকী ২০২০–২১ সাল থেকে চলতি আর্থিক বর্ষ পর্যন্ত নথি চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আরজি কর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার তথা এখনকার বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এই দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এবার রাজ্যের আরও একাধিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতির তথ্য পাওয়ার জেরেই বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা সংসদ থেকে মিলছে না ভর্তি ফি, কলেজ চালাতে নাভিশ্বাস, পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু
হাসপাতালে যে দুর্নীতির চক্র কাজ করত সেটা প্রমাণ করতেই এই নথি তলব করা হয়েছে। সেই নথি যাচাই করে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে চায় সিবিআই। এই বিষয়ে আগে আখতার আলি অভিযোগ করেছিলেন, ‘একদিন অন্তর আরজি কর হাসপাতালের ব্যবহার হওয়া সিরিঞ্জ✤, স্যালাইনের বোতল, রবার গ্লাভস, হ্যান্ড গ্লাভস মিলিয়ে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি মাল বের হতো। এগুলি বিক্রির ক্ষেত্রেও দুর্নীতি করতেন সন্দীপ ঘোষ। একটা চক্র তৈরি করে নিয়েছিলেন। তাতে যুক্ত ছিলেন দু’জন বাংলাদেশিও। তাঁরা এখান থেকে মালগুলি নিয়ে বাংলাদেশে পাঠাত রিসাইকেল করার 🦄জন্য।’