তরুণী 🦋জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডের ৯০ দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এখনও মিলছে না জাস্টিস। তাই আজ, শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে এই ৯০ দিনের আন্দোলনের এক এক মুহূর্ত বন্দি করা হয়েছিল ক্যামেরায়। সেই মুহূর্তকে আজ গ্যালারিতে রূপান্তরিত করা হল। ‘দ্রোহের গ্যালারি’ নাম দেওয়া হয়েছে। কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট। এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন সাধারণ মানুষও। আজকের মিছিলে আছেন আন্দো👍লনকারী চিকিৎসক দেবাশিস হালদার, পরিচয় পণ্ডা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়–সহ অন্যান্যরা। তবে এখানে এবার উত্তরপ্রদেশে ঘটে যাওয়া হাড়হিম করা ধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে স্লোগান উঠল। এটাই অভিনবত্ব।
আজ ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডক্টর ফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই মহামিছিলের আয়োজন করা হয়। ৯০ দিন অতিক্রম হতে চলেছে তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চান সকলেই। আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনায় সিবিআই প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে। কিন্তু সেখানে দোষী শুধু একজন ব্যক্তি। সঞ꧟্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে। এত বড় চক্রান্ত একটা ব্যক্তির পক্ষে করা অসম্ভব বলেই মনে করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আঙুল তুলেছেন তাঁরা। তাই জনগণ ন্যায়বিচারের উপরে আস্থা হারাচ্ছে। সেটারই প্রতিবাদে আজ করা হয় এই মহামিছিল।
আরও পড়ুন: মানসিক অবসাদে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন যুবক! বাঁচাতে ঝাঁপালেন লঞ্চের কর্মী, তারপর কী ঘটল?
এই মহামিছিল থেকেই উন্নাও, হাথরসের নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিও উঠল। আজ ডাক্তারদের এই মিছিল থেকে এমন ঘটনার বিচারের দাবি ওঠায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। তাই আজ, শনিবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে বিজেপি পার্টি অফিসের দিকে প্রবেশের রাস্তায় উঠল উন্নাও, হাথরস, কাঠুয়া, বিলকিস বানো ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিচার চাই স্লোগান। এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন বিশিষ্টরাও🦩। কারও হাতে রয়েছে প্ল্যাকার্ড, কারও হাতে জাতীয় পতাকা। আবার কেউ কেউ গাইছেন গান।