দুর্গাপুজো কার্নিভালের মেডিক্যাল ক্যাম্পে কর্মরত অবস্থায় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেওয়া ব্যাজ পরেছিলেন কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার তপোব্রত রায়। তার জেরে তাঁকে আটক করা হয়। ডিউটি করার সময় প্রতিবাদী ব্যাজ পরেছিলেন তপোব্রত। মঙ্গলবার তাঁকে আটক করে ময়দান থানা। এই ঘটনায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেন, আটক চিকিৎসককে সসম্মানে মুক্তি দিতে হবে। তারপর ওই চিকিৎসককে মুক্তি দেয় পুলিশ। আর মুক্তি পেয়েই ছুটে যান জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে। বুধবার গেলেন কর্🍬মক্ষেত্র কলকাতা পুরসভায়। এভাবেই প্রমাণ করলেন তিনি মাথানত করেননি। তাই তো আজও বুকে লাগানো ব্যাজে লেখা, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’
💛 এদিকে তপোব্রত রায় কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল টিমের সদস্য। তাঁর জামায় লেখা ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ব্যাজ। কার্নিভালে এমন স্লোগান থেকে প্রতিবাদের আশঙ্কায় তাঁকে আটক করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। তপোব্রত রায় ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’ লেখা টি–শার্ট পরে ছিলেন। তাই পুলিশ তাঁকে আটক করেꦚ নিয়ে যায়। পুলিশের কাছে তপোব্রত দাবি করেন, এই টি–শার্ট তাঁর আগের কেনা। কিন্তু বুকে লাগানো ব্যাজ, সেটা তো আগের নয়। তখন তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে আছেন তিনি। তাই ওটা পরেছেন। তবে এবার দেখা গেল, তপোব্রত রায়ের মতো কলকাতা পুরসভার অন্যান্য ডাক্তারদের বুকেও ‘উই ডিমান্ড জাস্টিস’ লেখা ব্যাজ। আর তা পরেই পুরসভার বৈঠক করলেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: ‘এই ১৩ দফা দাবিও বিবেচিত হোক’, জুনিয়র ডাক্তারদের পাল্টা প্যাঁচে ফেললেন কুণাল
অন্যদিকে সন্ধ্যা পৌনে ৮টা নাগাদ তপোব্রত রায়কে মুক্তি দেয় পুলিশ। তপোব্রত রায়ের দাবি, বিক্ষোভের জেরে চাপে মুক্তি দিল পুলিশ। আর এবার কলক🗹াতা পুরসভার কিছু অফিসার দাবি তুললেন, তপোব্রতকে আটক করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে হবে পুলিশকে। পুলিশ যাতে দুঃখপ্রকাশ করে স🤡েটার জন্য পদক্ষেপ করুক কলকাতা পুরসভা। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ দুঃখপ্রকাশ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা। গত ৫ অক্টোবর থেকে ডোরিনা ক্রসিংয়ে ‘আমরণ অনশনে’ বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পক্ষ থেকে ১০টি দাবি তোলা হয়েছে। যার মধ্যে ৭টি মেনে নেয় সরকার।