আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্ত ঘিরে আরও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে বেশ কয়েক দফায় ইতিমধ্যেই জেরা করেছে সিবিআই। এদিকে গত বুধবার আরজি করের মর্গের এক কর্মীকেও। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই কর্মী ক্লার্ক স্তরের। ময়নাতদন্তের পরের পর্যবেক্ষণ লেখায় ওই কর্মীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাঁকে অপূর্বের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়। তাতে নাকি পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে এসেছে। (আরও পড়ুন: মুখে হাসি, পকেট ভারী! পুজোর আগে ৬০০০ টাকা বাড়ল এই রাজ্য ꩵস🌊রকারি কর্মীদের বেতন)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে রহস্যের পাহাড়, তারই মধ্যে অবশেষে বড় 'সূত্র' ꦇ🌺এল CBI-এর হাতে
আরও পড়ুন: রাজ্যে নিয়োগ পাচ্ছেন ১৪০৫২ শিক্ষক, মাসে মাসে কত বেতন-D♈A-HRA হাജতে আসবে তাঁদের?
রিপোর্ট অনুযায়ী, অপূর্বের আগের বয়ানের সঙ্গে এ দিন ওই ক্লার্কের বয়ানের পার্থক্য রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই ময়নাতদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। এরই মাঝে কয়েকদিন আগে আনন্দবার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে একের পর এক প্রশ্ন তোলা হয়েছিল ময়নাদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে। এমনকী দাবি করা হয়, তদন্তকারীদের মনেও প্রশ্ন উঠছে যে জেনেুঝেই ময়নাতদন্তে গাফিলতি করা হয়েছে কি না? রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই চিকিৎসক এবং ডোমেদের বয়ানে ময়নাতদন্ত নিয়ে 'বিচলিত' সিবিআই আধিকারিকরা। এদিকে ভিডিয়োগ্রাফি থেকে স্পষ্ট কিছু বোঝা যাচ্ছে না। দিল্লি এবং কল্যাণী এইমসের বিশেষজ্ঞদের সেই ভিডিয়ো দেখানো হয়েছে। তবে তা থেকে কিছু বেরিয়ে আসেনি। (আরও পড়ুন: মানা হচ্ছে না প্রতিশ্রুতি, ফের নবান্নে মু💝খ্যসচিবকে ইমেল জুনিয়র ডাক্তারদের)
আরও পড়ুন: টাল সামলাতে পারলেন না টালা থানার𝓰 প্রাক্তন ওসি অভিজিৎౠ, ভরতি জেল হাসপাতালে
রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর কণ্ডে তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা দাবি করেছেন, ময়নাতদন্তের যে ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে, তার মান খুবই খারাপ। এই আবহে মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ভাবে বোঝাই যাচ্ছে না। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, এই ত্রুটি কি ইচ্ছে করে ঘটানো হয়েছে? এই আবহে সিবিআই সন্দেহ করছে, সত্যিকে আড়াল করতেই ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ায় ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। এদিকে সেদিন তরুণী চিকিৎসকের দেহ সূর্যাস্তের পর হয়েছিল। সেখানে পোস্টমর্টেম রুমের আলো কম ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে আরও দাবি করা হচ্ছে, খুব দ্রুতই (১ ঘণ্টা ১০ মিনিট) এই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। সেদিন আরজি করে মোট আটটি দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। এবং তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তেই নাকি সবচেয়ে কম সময় লেগেছিল। এদিকে জেরা করে এক ময়নাতদন্তকারী অꦦফিসারের থেকে নাকি সিবিআই জেনেছে, পোস্টমর্টেমে তাড়াহুড়ো করা নিয়ে তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন, তবে সেই আপত্তি গ্রাহ্য করা হয়নি।