উপনির্বাচনে সাধারণ ট্রেন্ড হল সরকারের ভোট বাড়ে। সাগরদিঘি নির্বাচন💫ে সেই মিথ ভেঙে গিয়েছে বলে দাবি করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। শাসকদলের ৩০ হাজার ভোট কমেছে এই নির্বাচনে। তাঁর ♓দাবি, তৃণমূলকে হারানোর ট্রেন্ড শুরু হস সাগরদিঘি থেকে। সাগরদিঘির ফল বলে দিচ্ছে বাম-কংগ্রেস ঐক্য সুদূর প্রসারী হবে বলে মনে করছেন সুজন।
বৃহস্পতিবার সাগরদিঘির প্রকাশের পর আলিমুদ্দিন স্ট🍌্রিটে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম। সেই সাংবাদিক বৈঠক উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তী। সিপিএম নেতা বলেন, 'সাগরদিঘিতে আমরা কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলাম, যাতে বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট ভাগাভাগি না হয়। দুর্নীতি-দুষ্কৃতী ও একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ভোটে প্রতিফলিত হয়েছে।'
সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন,'বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী ঐক্যকে মর্যাদা দিতে হবে সমস্ত দল বা গোষ্ঠী এই সংগঠন ভাবনা উদ্ধুদ্ধ হতে হবে। বামফ্রন্ট তথা সিপিএম ঐক্যের ℱডাক দিয়েছে, সাগরদিঘির ফলে সেই ঐক্য সুদূরপ্রসারী হবে।'
সাগরদিঘির ফল প্রকাশের আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশংসা করতেই হবে। যারা ভালো কাজ করে তাদের প্রশংসা করতেই হবে। আধা সামরিক বাহিনীর জন্য মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন। তাই এজন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বাহবা দিতেই হবে। (সাগরদিঘিত🅺ে তৃণমূলের হার, ক♛ারণটা অঙ্ক কষে বুঝিয়ে দিলেন মমতা)
সুজন চক্রবর্তী অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ত🍎িনি ধন্যবাদ দিয়েছেন এলাকার মানুষকে। তাঁর কথায়,'এখানে মানুষ শুধু ভোট দেননি। পাহারা দিয়েছেন। তৃণমূলের মস্তানদের কেউ ডানা ঝাপটাতে দেয়নি ওখানে। অনেকদিন পর সাগরদিঘিতে মানুষ নিজের ভোট নিজে🍨 ভোট দিতে পেরেছেন।'
মহম্মদ সে💧লিম বলেন, ‘বিজেপি ও তৃণমূꦑলের যৌথ কার্যক্রম ছিল। একদিকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানো, মানুষকে ভাগ করা এবং অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, ফসলের দাম, শিক্ষা ব্যবস্থার দূরাবস্থা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা। মানুষ বুঝেছে, তাঁদের ঠকানো হয়েছে।’