জেলের ভিতর দমবন্ধ হয়ে আসছে। কারাগারের চার দেওয়ালের বাইরে শ্বাস নিতে চান তিনি। কোনও ছোটখাটো চোর বা ছিনতাইবাজ নয়, কারারক্ষীদের একথা জানাল আরজি কর খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি জেলের কারারক্ষীদের কাঁদতে কাঁদতে একথা জানিয়েছে সে।জেল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার নিজের সেলে বসে কাঁদছিলেন সঞ্জয় রায়। তখন সেখানে হাজির হন এক কারারক্ষী। তিনি সঞ্জয় কেন কাঁদছে তা জানতে চান। জবাবে সঞ্জয় জানান, ‘জেলের ভিতরে দম বন্ধ হয়ে আসছে। জেলে থাকতে ভালো লাগছে না আমার। জেল কর্তৃপক্ষ সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিচ্ছে। আমার স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার অভ্যাস। এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না।'আরজি কর কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক থেকে গ্রেফতার হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ১৪ অগাস্ট তাকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। ২৩ অগাস্ট তাকে জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। সেই থেকে ২ মাসের বেশি সময় প্রেসিডেন্সি জেলের চার দেওয়ালের বাইরে বেরনোর সুযোগ হয়নি সঞ্জয়ের। কারণ, অভিযুক্তের সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে এই আশঙ্কায় আদালতে শুনানিতে জেল থেকেই ভার্চুয়ালি হাজিরা দিচ্ছে সে।সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সঞ্জয়ের কান্নাকাটি থামাতে কয়েকজন জেলকর্মী সেখানে হাজির হন। তাঁরা বুঝিয়ে সুঝিয়ে সঞ্জয়কে খাবার খেতে বলেন। অবশেষে খাবার খায় সঞ্জয়।আইনজীবীদের মতে, সঞ্জয়ের প্রাণদণ্ডের সাজা হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা শোনালেও সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ভারতে একজনের ফাঁসি হতে অন্তত ৫ বছর লেগে যায়। ততদিন জীবন্মৃত অবস্থায় জেলেই বেঁচে থাকতে হবে সঞ্জয়কে।