‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। কিন্তু, সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় একের পর এক গায়েব হয়ে যাচ্ছে ছাত্রদের ট্যাব কেনার টাকা। চলে যাচ্ছে অন্যদের অ্যাকাউন্টে। তাই নিয়ে এই মুহূর্তে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই আবহে ট্যাব কেনার টাকা নিয়ে শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ থেক⭕ে শুরু করে একাধিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে দুর্নীতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। এবার গোটা ঘটনায় তদন্তের দাবি জানালও এসএফআই। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘ট্যাব চাই’ দাবিতে পথ অবরোধে নামল পড়ুয়ারা, প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসেও হꦍল না কাজ
বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, এই দুর্নীতির সঙ্গে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জড়িত। তারা জড়িত না থাকলে কোনওভাবেই ট্যাবলেটের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়া সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। সেই কারণে এই ঘটনার দায় নিতে হবে শিক্ষামন্ত্রীকে। ইতিমধ্যেই ট্যাব দুর্নীতিতে কয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশ♓ি বেশ কয়েকটি স্কুলে প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। তবে সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের মতে, তাদের একার পক্ষে অনিয়ম ঘটানো সম্ভব নয়। এর সঙ্গে নিশ্চয়ই শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জড়িত রয়েছে।
এসএফআইয়ের অভিযোগ, বহু স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন সেই স্📖কুলগুলির কমিটির শীর্ষ পদে বসে রয়েছে শাসকদলের লোকেরা। তাদের ওপরেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে এসএফআই। ছাত্র সংগঠনের প্রশ্ন, শিক্ষা দফতরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পোর্টাল কীভাবে সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া চলছিল? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এসএফআই।