লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট বড় ঘোষণা করা হল রাজ্য বাজেটে। বাজেট পেশ করতে গিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেন যে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরিষেবা পাচ্ছেন এমন মহিলারা ৬০ বছর বয়স হলেই সরাসরি ১০০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা পাবেন। আবার ষাটোর্ধ্ব যে সমস্ত মহিলারা বিধবা ভাতা পান না, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে তাౠঁদের বরাদ্দ বাড়ল। ৫০০ ট𒈔াকার বদলে মাসিক এক হাজার টাকা পাবেন তাঁরা। সরাসরি পেনশনের আওতায় চলে আসবেন তাঁরা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্পের বিরোধিতায় বিধানসভার বাইরে অভিনব প্রতিবাদ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বার্ধক্য ভাতার আলাদা পরিষেবা রয়েছে। তারপরও আজ, বুধবার যা ঘোষণা হল, তাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থাকলে এখন থেকে ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে আলাদা করে আর সেই পরিষেবা পেতে আবেদন করতে হবে না। এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১.৮৮ কোটি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অধীনে এসেছে।’ এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি–উপজাতির মহিলাদের জন্য় মাসিক ১০০০ টাকা এবং অন্যান্য মহিলারা ৫০💧০ টাকা পেতেন। তবে এই ভাতা পেতেন ২৫–৬০ বছর বয়সী মহিলারা। এবার সেই প্রকল্পের আওতায় এলেন যাটোর্ধ্ব মহিলারাও। এতদিন ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে তাঁরা পেতেন বার্ধক্য ভাতা। এবার ৬০ বছর পার করা মহিলারা বার্ধক্য ভাতা–সহ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন।
এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সমস্ত বিজেপি বিধায়ককে অভিনব সাজে দেখা গেল বাজেট অধিবেশনে সবার মুখে নীল রঙের মাস্ক। তার উপর সাঁ﷽টা রয়েছে একটি ৫০০ টাকার নোট। বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা দিয়ে বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। তার প্রতিবাদেই মাস্কের উপর ৫০০ টাকার নোট সেঁটে বিধানসভা এসেছেন তাঁরা। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস খোঁচা দিয়ে বলেছে, ওদের কি💫ছু বলার নেই। তাই ওরা জোকার সেজে এসেছিল বিধানসভায়।