কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মহানগরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধ করার কথা ঘোষণার পরেই অভিযানে নেমেছে কলকাতা পুলিশ। চলছে ধরপাকড়। এই অবস্থায় বিকল্প আয়ের দিকে ঝুঁকছে হুক্কাবারগুলি। সেখানে হুক্কার𓃲 ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে আপাতত শুধুমাত্র স্ন্যাকস এবং নরম পানীয় জাতীয় খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করা শুরু করেছেন হুক্কা বারের মালিকরা। আবার অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছেন হুক্কা বার।
পার্ক স্ট্রিটের 🐼টায়ার প্যাটি হু🦋ক্কা পার্লারের মালিক প্রভাত সিং হুক্কার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁর মতে, আরও অনেকেই আছেন যাঁরা এখন হুক্কা ছাড়াই ব্যবসা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আমাদের এবং আমাদের কর্মীদের সাহায্য করার জন্য কিছু খাবার বিক্রি করছি। কিন্তু আমরা জানি না কতদিন এইভাবে কাজ করা যাবে।’ তাঁর আক্ষেপ, ‘দুদিন আগেও আমরা আইনি ব্যবসায়ী ছিলাম এবং এখন হঠাৎ করে আমাদের অপরাধী হিসাবে দেখা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি যে পুরসভা আমাদের নিয়ে 🦂বিকল্প কিছু ভাবছে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে দুটি হুক্কা বারে অভিযান চালিয়ে ম্যানেজার ও মালিককে গ্রেফতার করা হলেও সপ্তাহান্তে অভিযান অব্যাহত ছিল। শনিবার কসবায় আরেক হুকꦓ্কা বারের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওইদিন পুলিশ রুবি হাসপাতালের কাছে রাজডাঙ্গা মেইন রোডে হুকক্যাফে নামে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ম্যানেজার বিশ্বজিৎ সাহাকে গ্রেফতার করে। কলকাতা পুলিশের একজন সিনিয়র অফিসার জানান, ওই হুক্কা বার থেকে চার সেট হুক্কার সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে স্বাদযুক্ত তামাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত পণ্য নিষেধা൲জ্ঞা আইন ২০০৩-এর ধারা ২০(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যক্তিকে ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারে আদালত।