ঘাসফুল শিবিরের দীর্ঘদিনের বিধায়ক শোভনদেব🎐 চট্টোপাধ্য়ায়। ফের দলীয় নেতৃত্বের একাংশকে তুলোধোনা করলেন তিনি। খড়দহের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হন বিধায়ক শোভনদেব।
রক্তদান উৎসবে উপস্থিত হয়ে শোভনদেব জানিয়েছেন, নেতা দুরকম হয়। একটা হল সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নেতা হওয়া। আর একটা হল কারোর দয়ায় পদ পেয়ে যাওয়া। দুটোর🍌 মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। দুধরনের গাছ আছে। একটা গাছ মাটিতে বসিয়ে দিলে তা আপনা থেকেই উপর দিকে উঠে আসে। আর অপর একটি গাছ আছে যেটা জন্মানোর পরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে তুলে না ধরলে সে উঠে দাঁড়াতে পারে না। লাউ গাছ যেমন একটা গাছ। একটা বট গাছ যদি পুঁতে দেন তবে তা সটান ওপরের দিকে উঠে যাবে। আর লাউ গাছকে যতদিন না আপনি ঠেকনা দেবেন ততদিন পর্যন্ত লাউ গাছটা ওপরে🐬র দিকে উঠতে পারবে না।
বিধায়ক বলেন, মানুষের চরিত্রের মধ্যে এমন একটা ব্যাপার💧 আছে। কারোর কারোর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আছে। অবশ্যই সে জন্য পরিবেশ তৈরি করে নিতে হবে। আর অন্যদের সুযোগ করে দিতে হয়। সুযোগ করে দিলে তারা ওপর দিকে উঠতে শুরু করে। আর দাদার দয়ায় যারা ন🌊েতা হয় তারা আর বাড়তে পারে না।
বিধায়কের এই মন্তব্যের পরে অনেকেই হাততাল🦩ি দিয়ে সমর্থন জജানান। প্রবীণ নেতার মুখে এই আত্মসমালোচনা শুনে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়ে যান।
এদিকে দলের প্রবীন বিধায়ক এদিন দলের কোন অংশকে লাউ গাছের সঙ্গে তুলনা করলেন তা নি🅘য়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এ🍰দিন তিনি যেভাবে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের 🐭মতে, লিফটে চড়ে নেতা হয়ে গিয়েছেন এমন কথা প্রায়শই শোনা যায়। লড়াই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নয়, বাস্তবিকই কারোর দয়ায় নেতা হওয়ার একাধিক নজির বাংলায় রয়েছে। এমনকী তৃণমূলের অন্দরে ইদানিং পরিবারবাদের কথাও শোনা যায়। লড়াই, আন্দোলন না করেই শুধু পরিবারের ভিত্তিতে নেতা হওয়ারও নজির রয়েছে। তাদেরকেই কি লাউ গাছের সঙ্গে তুলনা করলেন বিধায়ক?