বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই সংঘাত চরমে উঠল। আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার বায়ু, বাংলার ফল’ বাজাতে বলেন। তাই নির্দেশ মতো গান বাজতেও শুরু করে। কিন্তু তার মধ্যেই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তাঁদের বিধায়করা ‘জন গণ মন’ গাইতে শুরু করেন। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্র🍰িমা ভট্♛টাচার্যের বাজেট পড়ার মধ্যে আবার বিজেপি পরিষদীয় দল হট্টগোল শুরু করে। তখন উঠে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে আজ রাজ্য বাজেটে যা ঘোষণা করা হয়েছে তাতে দারুণ খুশি সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে রাজ্যের মহিলারা। কারণ সরকারি কর্মচারীদের আরও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে বাজেটে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫০০ টাকা যাঁরা পেতেন এবার থেকে পাবেন ১০০০ টাকা। আর যাঁরা হাজার টাকা পেতেন তাঁদের মিলবে ১২০০ টাকা। এই ঘোষণার সময় হট্টগোল পাকাতে থাকেন বিজেপির বিধায়করা। তখন উঠে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বাজেট পেশ করতে দিন। তার পর আপনারা সমালোচনা কর✅ুন। আর যদি ভাবেন, বাজেট পেশই করতে দেবেন না, তা হলে আমরাও সংসদে বাজেট পেশ করতে দেব না।’
অন্যদিকে নতুন কর্মশ্রী প্রকল্পে ৫০ দিন করে কাজ দেওয়ার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। ১০০ দিনের প্রকল্পের পাল্টা এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্য বাজেটে সমুদ্রসাথী প্রকল্পের ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। পথশ্রী প্রকল্পের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হল। চন্দ্রিমার বাজেট পেশের স🐎ময় হট্টগোল শুরু করেন শুভেন্দু–সহ বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমাღন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিরোধীরা না থামলে উঠে বলতে শুরু করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা বিজেপির পার্টি অফিস না। এটা বিধানসভা। বাংলার মানুষ দেখুক এরা কী ভাবে মানুষকে অপমান করছে।’
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোয় ২০২২–২৩ সালে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, সংসদে দাবি করলেন রেলমন্ত্র🍨ী
এছাড়া বাজেটে ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের বকেয়া বাবদ ৩৭০০ কোটি বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। বাজেট পেশের সময় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে বিধানসভায় শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। পাল্টা জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে বিজেপি বিধায়করা। বাজেট পেশের আগেই উত্তাপ বিধানসভায়। অধিবেশনের শুরুতেই সঙ্গীত নিয়ে তরজায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত হয় শেষে। এরা নোংরা করল। জাতীয় সঙ্গীত✅ আমরাও গাই। তবে সবচেয়ে শেষে। এভাবে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অসম্মান করেছে বিজেপি। এই ঘটনার নিন্দা করছি।’