এই বছরেই রাজ্যজুড়ে সরকারি এসি বাসের ভাড়া বাড়🌠তে চলেছে বলে সূত্রের খবর। কালীপুজো মিটলেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবান্ন। ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে সরকারি এসি বাসের ভাড়া বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে। পেট্রল–ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্য♏বৃদ্ধির জেরে সরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলির পক্ষে বাস চালানো বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। বিষয়টি সবিস্তারে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও। মুখ্যসচিবের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়। ভাড়া কী হারে বাড়ানো হবে? তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। তবে নন–এসি সরকারি বাসের ভাড়া কোনওভাবেই বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই বলে খবর।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১১ বছরে বাস ভাড়া বেড়েছে মাত্র দু’দফায়—প্রথমবার ২০১৪ সালে এবং শেষবা💛র ২০১৮ সালে। তবে ২০২০ সালে, বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নবান্নের পক্ষ থেকে পরিবহণ দফতরের কর্তাদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়। সেই কমিটি ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষেই সুপারিশ করেছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে আমজনতার উপর বোঝা চাপাতে চায়নি। তাই ভাড়া বাড়েনি।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ভাড়া–বৃদ্ধির বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিবহণ কর্তা জ✅ানান, এসি বাসের তেল এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নন–এসি বাসের তুলনায় অনেক বেশি। ভাড়া বাবদ সেই আয় না হওয়ায় অসংখ্য সরকারি বাস মেরামতির অভাবে বিভিন্ন ডিপোয় পড়ে রয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে এসি বাসের ভাড়া বৃদ্ধির পদক্ষেপটি ‘গেম♒–চেঞ্♐জার’ হতে পারে। কারণ, মূলত আর্থিক সম্পন্ন যাত্রীরাই এসি বাস চড়েন। সেক্ষেত্রে সরকারি ঠান্ডা বাসের ন্যূনতম ভাড়া বাড়লে যাত্রীরা বিশেষ আপত্তি থাকবে না এবং রাজকোষও ভরবে।