ইতিমধ্যেই আলিপুর সেন্ট্রাল জেল এখন মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে। এবারের শীতে তাতে ভাল ভিড় করেছেন পর্যটকরা। তেমনই এবার রাজ্যের প্রতিটি সংশোধনাগারের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরার উদ্যোগ নিল রাজ্যের কারা দফতর। রাজ্যের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র না জানা ইতিহাস। হাজারো নথির ভিড়ে চাপা পড়ে রয়েছে অজানা কথা। সেগুলিকে সযত্নে তুলে এনে সংরক্ষিত কর♎ার চেষ্টা চলছে। যাতে আ♎গামী দিনে সাধারণ মানুষ তা দেখার সুযোগ পান। আর ইতিহাসের না জানা নানা কথা জানতে পারেন।
ঠিক কেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? কারা দফতর সূত্রের খবর, ইংরেজ শাসনে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীকে নানা সময় কাটাতে হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে। ফলে তাঁদের অনেকেরই জীবন কাহিনী রয়ে গিয়েছে সবার অন্তরালে। বহু বিপ্লবীকেই দুঃসহ যন্ত্রণার সহ্য করতে হয়েছে সংশোধনাগারে। সেই সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নানা নথিপত্র, দলিল দস্তাবেজ ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন জেলের রেকর্ড রুমে। যা এক কথায় অমূল্য সম্পদ। ওই সমস্ত নথির মধ্যে রয়েছে জেল থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া সমন, রেজিস্টার্ড বুক, হাজিরা খাতা, পি꧅ওন খাতা, পরোয়ানার নথি, বিভিন্ন বিপ্লবীদের ফটোগ্রাফ রয়েছে। যা একত্রিত করে বিভিন্ন জেলে তা সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আর কী সংরক্ষণ করা হচ্ছে? যে সমস্ত জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ফাঁসি হয়েছে, সেই স✤মস্ত বিপ্লবীদের ফাঁসি সংক্রান্ত নথিপত্র, আদালতের আদেশের নথিপত্র, ফাঁসি কাঠ– সহ নানা জিনিস এবং বিপ্লবীদের সেলগুলিও সংরক্ষণের উদ্যোগ ন𝔉েওয়া হয়েছে। কারা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘বহু জেলেই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বন্দি ছিলেন। বিপ্লবীদের তালিকা খুঁজে বার করা হচ্ছে। তাঁদের জীবন নিয়ে তথ্য তুলে ধরা হবে জেল চত্বরের বিশেষ সংগ্রহশালায়। থাকছে ওই সমস্ত বিপ্লবীদের নামাঙ্কিত ফলক এবং নেমপ্লেট।ꦏ যাতে মানুষজন জানতে পারেন🀅, ওই সংশোধনাগারে কোন কোন স্বাধীনতা সংগ্রামী বন্দি অবস্থায় কাটিয়ে ছিলেন। আর কোন বিপ্লবীকে ফাঁসি কাঠে প্রাণ দিতে হয়েছিল।