কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি বঞ্চনার অভিযোগ। মিটিংয়ে-মিছিলে এনিয়ে বার 🌸বারই সরব হয়েছে শাসকদল। তবে সেই সঙ্গেই কেন্দ্♑র যে বঞ্চনা করেছে তার জন্য় যাতে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে না হয় সেকারণে সেই টাকা রাজ্য সরকার দেবে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল।
সেই টাকার মধ্য়ে একদিকে রয়েছে ১০০ দ🐟িনের বকেয়া মজুরির টাকা। আর অন্যদিকে রয়েছে আবাস যোজনার টাকা। সেই টাকা দেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন্দ্রের আরোপিত একটি শর্ত তারা মানতে রাজি﷽ নয় রাজ্য সরকার। একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
কার্যত লড়াই একেবারে মুখোমুখি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা উল্লেখ করে বার বার এনিয়ে সরব হয়েছে শাসকদল। তবে এতে যে সকলের মন ভিজবে না তা বিলক্ষণ জানে ঘাসফুল শিবির। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেকারণেই যে টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না বলে দাবি করা হচ্ছে সেই টাকাই দেবে রাজ্য সরকার💜। এমনটাই ঠিক করা হয়েছে।
আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকার এই টাকা দিয়ে দেবে। তবে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার আগে প্রকৃত উপভোক্তা কারা তা খতিয়🐓ে দেখার জন্য সমীক্ষা করবে রাজ্য সরকার। তারপর এই টাকা দেওয়া হবে।
তবে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আরোপিত শর্তের মধ্যে একটি মানবে না রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের শর্তের মধ্য়ে অন্যতম হল তিন-চার চাকার গাড়ি থাকলে আবাস যোজনার অধীনে টাকা মিলবে না, কেউ সরকারি চাকরি করলে তিনি আবাস যোজনার সুবিধা পাবেন না। এই সমস্ত শর্ত যেমন আছে তেমনটাই থাকছে। শুধু যাঁরা বাড়ির একাংশ পাকা করে ফেলেছেন তাঁরাও আবাস যোজনার টাকা পাবেন। অর্থাৎ এই একটা ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আরোপিত শর্ত মানবে না রাজ্য সরকার। এতে বহু মানুষের উপকার হতে পারে꧑ বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আবাস যোজনা ও তার সমীক্ষা নিয়ে কার্যত তৃণমূল রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছিল বল🍃ে অভিযোগ বিজেপির। সেই প্রসঙ্গে অনেকের মনে পড়ে যাচ্ছে ২০২২ সালে জলপাইগুড়ির সেই তৃণমূল নেত্রীর কথা।
সেই সময় তৃণমূলের ♏জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ পাহাড়পুর এলাকায় বক্তব্য় রাখছিলেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলে বসেছিলেন, আবাস যোজনা꧟র সুবিধা পেতে গেলে তৃণমূল করতে হবে। পরে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি তাঁর বক্তব্য অনড়।
তিনি ঠিক কী বলেছিলেন?
মহুয়া গোপ বলেন, পাহাড়পুরের এই বুথের বাসিন্দা হয়ে যদি সরকারি সুবিধা পেতে হ🐼য়, সব সরকারি সুবিধার পাশে যদি ঘরটাও পেতে হয়, ঘরটা পাওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসটাই করতে হবে। কোনও বিজেপি এসে আপনাকে ঘর দিতে পারবে ন🔯া।
তবে নেত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে দলেরই অনেকে একমত নন। তবে তিনি অবশ্য তখন তাঁর অবস্থান বদলাতে চাননি। তাꦅঁর সাফ কথা, আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপি নানা অপপ্রচার করছ꧂ে।
এদিকে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সভাতেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সবেতেই ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। আবাস যোজনা নিয়ে বিজেপি গ্রামের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তারা গ্রামে গ্রামে ফর্ম বিলি করছে। বলছে আপনারা আমাদের সমর্থন করুন। আমরা আমাদের ঘরের ব্য়বস্থা করে দেব। কিছু মানুষ ভুল বুঝে বিজেপি নেতাদের পেছনে যাচ্ছেন😼। কিন্তু বিজেপি আপনাদের ঘর দিতে পারবে না।
ব༺াস্তবিকই এবার ঘরের টাকা দিচ্ছে স💧েই তৃণমূল সরকারই।