মালদহে ধৃত চিনা চর হানকে সল্টলেকের দফতরে এনে জেরা শুরু করছেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই মালদহ থেকে হান জুনেইকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। রাতে তাকে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় রাখা হয়। শুক্রবার সকালে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তারপর সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় সল্টলেকের এসটিএফের দফতরে। সেখানেই হানকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদেশে এই চিনা নাগরিকের নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। ইতিমধ্যেই গুরুগ্রামে তার হোটেলের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের আরও সন্দেহ হাওয়ালার সঙ্গে যোগ থাকতে পারে এই চিনা চরের।কারণ, হোটেল এমনই একটা ব্যবসা যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সংস্থাগুলোর সঙ্গে অহরহ যোগাযোগ করতে হয় হোটেল ব্যবসায়ীদের। বিভিন্ন দেশের হোটেল চেন হোক কিংবা ট্রাভেল এজেন্সি, টাকা ভাঙানোর এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ভ্রমণ পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ লেনদেন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে হান তেমনই কোনও মাধ্যমের সাহায্যে বিদেশে টাকা পাচার করছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। তবে এখনও তার ল্যাপটপ ও দু’টো আই ফোনের রহস্য ভেদ করতে পারেননি তদন্তকারীরা। ফোনগুলোয় মান্দারিন ভাষায় পাসওয়ার্ড লক করা রয়েছে। একবার এই দু’টি ফোন খুলতে পারলেই, অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।জানা গিয়েছে, ১৩০০ ভারতীয় সিমকার্ড চিনে পাচার করেছিল হান। এমনকী, গুরুগ্রামে হোটেল ব্যবসার আড়ালে ভারত, বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার উপমহাদেশে সে কোনও হাওয়ালা চক্র চালাত কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দাররা।