আলু–পেঁয়াজ আগেই নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে মধ্যবিত্তের। এবার দশমীর দিন হাতের বাইরে চলে গেল দুধের দাম। এই দুধের দাম ঘিরেই যত বিভ্রান্তি। উৎসবের মরশুমে দুধ মহার্ঘ হয়ে উঠল। দশমীর বাজারে দুধের দাম বৃদ্ধির জেরে বেড়ে গেল মিষ্টির দামও। হঠাৎ করে এই পরিস্থিতি তৈ🃏রি হওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে সকলের।
এখন প্রশ্ন উঠছে, খোলা বাজারে গরু বা মোষের এক লিটার দুধের দাম কত? মোটামুটি প্রতি লিটারে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে। তার জেরে গরু এবং মোষের দুধের দামও আকাশছোঁয়া। ৫০ থেকে ৫৬ টাকায় প্যাকেটজাত এক লিটার দুধ মেলে। বাজারে এখন রেকর্ড দামে বিকিয়েছে দুধ। করোনা আবহে বিহারে অনেকে চলে যাওয়ার কারণে জোগানে টান পড়ায় 🌠কিছুদিন এক লিটারের দাম গিয়ে ঠেকেছিল ২০ টাকা কম ১০০ টাকা! চলতি সপ্তাহে গরুর দুধ ৫৫ থেকে ৬০ এবং মোষের দুধ ৭০ টাকা পর্যন্ত লিটার পিছু বিকিয়েছে।
কলকাতায় দুধের জোগান দেয় জোড়াসাঁকো, নতুনবাজার, হাজরা ও শিয়ালদহের পাইকারি বাজার। ডানকুনি, খড়দহ, টিটাগড়, আমতলা, বারুইপুরের মতো শহরতলি থেকে আসেন খাটাল মালিকরা। তাঁরা দুধ বিক্রি করেন নিত্যনতুন দামে। জোগান অনুযায়ী দাম। শহর–শহরতলি থেকে খাটাল উচ্ছেদের পর জোগা🎉ন কিছুটা হলেও কম।
উল্লেখ্য, দুধের দামের উপর ছানার দাম নির্ভর করে। তার উপর আবার ঠিক হয় বিভিন্ন মিষ্টির দাম। দুধের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এবার মিষ্টির দাম কিছুটা বেড়েছে। দশমীর দিনে ঝোপ বুঝে কোপ মেরেছেন দুধ ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ অনেকের। রাজ্যের দুগ্ধ ফেডারেশনের এক কর্তা বলেন𒐪, ‘আমরা রাজ্যের বিভিন্ন সমবায়ের দুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু খোলা বাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। এখানেই সমস্যা।’