রাজ্যজুড়ে এখন দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বেশি উৎসাহ দেখা দিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ির গৃহিনীরা সরাসরি হাতে টাকা পাবেন। তবে পিছিয়ে নেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডও। ইতিমধ্যে ১০ কোটিরও বেশি টাকা পড়ুয়াদের হাতে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য মিলেছে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা করে সবুজ সংকেত পেয়ে গিয়েছেন আধিকারিকরা। আরও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এমনকী স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ঋণ পাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।একুশের নির্বাচনী ইস্তেহারে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। ক্ষমতায় এসেই সেই কথা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৩০ জুন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের উদ্বোধন করেছিলেন। দশম শ্রেণির পর থেকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্র–ছাত্রীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করতে পারবেন।এদিকে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের ৭৯০৪৩ জন আবেদন করেছেন। এখানে ছাত্রের সংখ্যা ৪৩৮২৪ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩৫২১৩। এই রাজ্যের মধ্যে পড়ার জন্য আবেদন করেছে ৫৭০৭৯জন। আর বাইরে পড়ার জন্য আবেদন করেছেন ২১৯৪৬ জন। এখনও পর্যন্ত লোনের পরিমাণ হয়েছে ৩৪৬১ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা।অন্যদিকে মোট আবেদনের ৪৯.৬১ শতাংশ স্নাতক স্তরে পড়ার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করেছেন। এছাড়া ডিপ্লোমা কোর্স–সহ আরও অন্যান্য শিক্ষার জন্য আবেদন জমা পড়েছে। তবে যে পরিমাণ দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আবেদন করেছেন ছাত্রছাত্রীরা তার তুলনায় কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক কম। এখনও পর্যন্ত যা হিসাব তাতে ১০ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৫৬ টাকা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মঞ্জুর করা হয়েছে।