অতিমারি পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। সেই কাজ হারানোর তালিকায় যুক্ত হয়েছিল পাটুলির বাসিন্দা অমিতজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। এদিকে মাঝবয়সে কাজ হারানোর জ্বালা সহ্য করতে পারেননি তিনি। আর তারই পরিণতিতে চরম পথ বেছে নিলেন তিনি। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। পাটুলির ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। একটা ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল তাঁর শরীরটা। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে পাটুলির ভাড়া বাড়িতে থাকতেন অমিতজ্য়োতি। এদিকে আচমকা কাজ হারিয়ে ভয়াবহ আর্থিক অনটনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবার বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে ছিলেন না। এদিকে সকালে বাড়ির মালিক লুনা সরকার দীর্ঘক্ষণ ধরে অমিত জ্যোতির কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। এরপরই তিনি প্রতিবেশীদের জানান। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সিলিং ফ্য়ান থেকে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে তাঁর কাজ যায়। এরপর সংসার কীভাবে চালাবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইদানিং তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সম্ভবত তার জেরেই তিনি গলায় ফাঁস দেন। তবে প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, অমিতজ্যোতি যে কাজ হারিয়েছেন তা তাঁরা জানতেন না। তাছাড়া বাইরে থেকে মাঝেমধ্যে খাবার আনাতেন তিনি। সেক্ষেত্রে আর্থিক অনটনের মধ্যে থাকলে খাবার কেনার টাকা কোথা থেকে পেতেন? এনিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে।