বগটুই কাণ্ডের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিহতদের পরিবারকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই মতই সোমবার তারা চাকরি পেয়েছেন। এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক𒁃্ষ, ‘এ রাজ্যে পুড়লে চাকরি পাওয়া যায়।’
বালিগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আরও একবার প্রমাণিত হল পশ্চিমবাংলায় পড়লে চাকরি পাওয়া যায় না, পুড়লে চাকরি 𝕴পাওয়া যায়। যারা পড়াশোনা করে সফল হয়েছিলেন তারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন।’ অন্যদিকে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে যে বগটুই কাণ্ডের মতো আরও অনেক ঘটনা ঘটবে তা নিয়েও তিনি সতর্ক করেছেন সংখ্যালঘুদের। তিনি বলেন, ‘বালিগঞ্জে প্রচুর সংখ্যালঘু ভোট আছে। সেই কারণে গতবার বিজেপি বেশি ভোট পায়নি। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুরা বুঝতে পারছেন যে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে পড়লে বগটুইয়ের মতো জ্বলে-পুড়ে মরতে হবে।’
সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। সুকান্ত মজুমদারকে ব্যক্তিগতভাবে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছিলাম উনি পেশায় অধ্যাপক। যে বিষয়টা বিচারাধীন রয়েছে তাও আবার সিবিআই তদন্ত করছে তার পরেও তিনি কীভাবে এই ধরনের কথা বলতে পারেন তা আমার জানা নেই। বাংলায় সংখ্যালঘুরা কতটা ভাল আছে তা জানার পরেই তারা♛ তৃণমূলকে বেশি বেশি ভোট দিয়ে প্রত্যেকটা নির্বাচ☂নে জিতিয়েছে।’
শান্তনুর দাবি, ‘গুজরাট বা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তুলনায় বাংলার সংখ্যালঘুরা অনেক বেশি ভাল আছে। পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে ভাল আছেন। সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ রাজ্য যদি থেকে থাকে সেটা হল পশ্চিমবঙ্গ। সেক্যুলার দল যদি থেকে থাকে তাহলে সেটা হল তৃণমূল কংগ্রেস এবং সারা ভ🅠ারতের সবচেয়ে বড় সেক্যুলার নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’