সাসপেনশনের কারণে অধিবেশন বা কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার কথা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার বিরোধী দলনেতা–সহ বিজেপি’র সাত বিধায়কের রাজ্য বিধানসভার মূল ভবনে প্রবেশও নিষিদ্ধ 𒊎করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী শুভেন্দু অধ🍨িকারীর ভাতা বন্ধ হল বিধানসভায়। এখন তিনি বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিধানসভায় এলেও কোনও প্রাপ্য অর্থ পাবেন না। বিধানসভার লবিতে পর্যন্ত যেতে পারবেন না তিনি। বিধানসভায় নিজের চেম্বারেও বসতে পারবেন না বিরোধী দলনেতা। আর এই সংক্রান্ত চিঠি পেয়েই ক্ষোভপ্রকাশ করলেন সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? বিধানসভা সূত্রে খবর, বিধানসভার ভিতরে বিরোধী বিধায়করা মারামারি করে ছিলেন। বিরোধী দলꦉনেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারকে ম๊েরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। শুভেন্দুর পাশাপাশি সাসপেন্ড হয়েছেন আরও চার বিধায়ক। এই সাসপেনশনের সাজা হিসেবেই বিধায়করা আপাতত দৈনিক ভাতার টাকা পাবেন না। বিধানসভার সচিবালয় থেকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কী বলছেন বিরোধী দলনেতা? এই চিঠি হাতে পেয়েই চোটে যান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি চলছে। এই প্রথম টানা বিরোধিতার মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। আর তাই বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চলছে।’ বিধায়কদের মাসিক বেতন ২২ হাজার টাকা। আর প্রত্যেকদিন উপস্থিতির জন্য দু’হাজার টাকা ভাতা পান। কিন্তু সাসপেন্ড হলে তা বন্ধ করꦑে দেওয়া যায়।
এই বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অধিবেশন চলাকালীন অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও নজিরবিহীন আচরণ করেছিলেন ওই বিরোধী বিধায়করা। পরবর্তী♔কালে এনিয়ে তাঁরা কোনও দুঃখপ্রকাশ পর্যন্ত করেননি।’ উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা–সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই তালিকায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক ছাড়াও রয়েছেন মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, পুরুলিয়ার বিধায়ক নরহরি মাহাতো, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ। বিজেপি পরিষদীয় দল সাসপেনশনের মেয়াদ–সহ ভাতা এবং মূল সদনে প্রবেশ বন্ধ করা নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে।