কার্নিশ কাণ্ড কেন ঘটল? এই প্রশ🐽্ন তুলে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্যভবন। শনিবার রোগী সুজিত অধিকারী মল্লিকবাজারের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেন। তার পর তাঁর চিকিৎসা চললেও বাঁচানো যায়নি। আবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ🎃্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের পিসি৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৩০৪ (এ) ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ২৩ জুন হাসপাতালের আট তলার এইচডিইউ ইউনিটে ভর্তি হন লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির বাসিন্দা সুজিত। সেখানের ওয়ার্ডেই বেডের পাশের জানালা খুলে কার♛্নিশে নেমে পড়েন সুজিত অধিকারী। তারপর দমকল–সহ পরিবার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে নামাতে পারেননি। অবশেষে তিনি সেখান থেকে ঝাঁপ দেন এবং রাতে মারা যান। এরপরই স্বাস্থ্যভবনের আতস কাঁচের নীচে পড়ল ওই হাসপাতাল।
ঠিক কী করেছে পরিবার? পুলিশ সূতไ্রে খবর, সুজিতের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর পিসি বাসন্তী অধিকারী। বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। টানা আড়াই ঘণ্টার চেষ্টাতেও তাঁকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় 🍌ফরেনসিক দল৷ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক দলের অনুমান, প্রায় ৯০ ফুট উচ্চতা থেকে নীচে পড়ে যান সুজিত। সুজিতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য এনআরএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ ফলে চাপে পড়েছে নিউরো সায়েন্স।
কী কী প্রশ্ন উঠছে? এই ঘটনার পর থেকেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কীভাবে জানালা ভেঙে আটতলার🧸 কার্নিশে বসলেন রোগী? জানালা কীভাবে ভাঙলেন রোগী? তাঁকে নীচে পড়া থেকে রুখতে কেন ব্যর্থ হল হাসপাতাল এবং দমকল কর্তৃপক্ষ? ঝাঁপ দিলে কী করে বাঁচানো হবে তার ব্যবস্থায় কী ফাঁক ছিল? হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ꦦওঠা এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে পুলিশ এবং ফরেনসিক দল।