মহালয়ার প্রাক্কালে কেটে গেল চা–বাগানের শ্রমিকদের বোনাস জট। রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে মুখে হাসি ফুটল চা–শ্রমিকদের। এই বোনাস পেলেই দুর্গাপুজোর কেনাকাটা শুরু করবেন তাঁরা। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে পাহাড়ে যে হাট বসে তাঁদের মুখেও হাসি ফুটল। কারণ চা–শ্রমিকরা কেনাকাটা করলে তবেই তো ব্যবসায়ীদের হাতে টাকা আসবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আনন্দের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে 🐭চা–বাগান 🌼শ্রমিকদের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের প্রতি বেশি দরদি তা সকলেই জানেন। সেখানে এবার বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা নিজে চোখে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এমন উদ্যোগ।
কত শতাংশ হারে মিলবে দুর্গাপুজো বোনাস? মালিকপক্ষের দেওয়ার ইচ্ছে ছিল ১৩ শতাংশ। আর চা–শ্রমিকদের দাবি ছিল, ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতে হবে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছিল জটিলতা। মালিক–শ্রমিকদের ‘দরাদরি’ চরমে উঠেছিল। কারণ কোনও পক্ষই নিজের অবস্থান থেকে সরছিলেন না। অবশেষে মাঝামাঝি অঙ্ক তুলে ধরে চা–বাগানের বোনাস জট কাটাল শ্রম দফতর। আজ, মঙ্গলবার লেবার কমিশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ১৬ শতাংশ হারে এবার দুর্গাপুজোর বোনাস পাবেন🀅 চা–শ্রমিকরা। আগামী ৪ অক্টোবর তারিখের মধ্যে সেই অর্থ তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় এখন খুশির হাওয়া চা শ্রমিকদের মধ্যে বইছে।
আরও পড়ুন: আজ জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলাবেন জহর সরকার! দাবি জাস্টিসের
এই বোনাসের দাবিতে গতকাল সোমবার কাজকর্ম বন্ধ রেখে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করেন চা–শ্রমিকরা এবং সংগঠনগুলি। এই ধর্মঘটের সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যান চলাচল। তার জেরে বিপাকে পড়েন পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন উত্তরবঙ্গে ছিলেন। তাঁর কানেও গিয়েছিল কথাটা। তাই উত্তরকন্যা থেকে বৈঠক করে বেরিয়ে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ’সমস্যা মিটে যাবে। আমি শ্রম দফতরকে বিষয়টি দেখে নিতে বলেছি।’ আর হলও তাই। শ্রম দফতরের হস্তক্ষেপে বোনাসও মিলল। আবার দুর্গাপুজোর মুখে হাসিও ফুটল চা–শ্রমিকদের মধ্যে। এই ঘট🌳নায় সকলেই এখন খুশি।