উত্তেজনা, ঠেলাঠেলি, ধরপাকড়, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বাদ থাকল না কিছুই। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতা শাখার নির্বাচনকে ঘিরে একেবারে ধুন্ধুমার কান্ড। সবে পুরভোট গিয়েছে। সেই অশান্তিকেও যেন হার মানিয়ে দিল এদিনের আইএমএ ভোট। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে লেনিন সরণিও একটা সময়ে বন্ধ করে দিতে হয়। দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বহিরাগত আনার অভিযোগ তুলেছে।চিকিৎসক নেতা নির্মল মাজি ও শান্তনু সেনের মধ্য়ে বিরোধ যে তুঙ্গে উঠেছে এদিনের ঘটনায় তা বার বারই প্রকাশ্যে আসে। ভোট লুঠেরও অভিযোগ ওঠে। জাল ভোটার নিয়ে ভোট দেওয়ানোর চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী চড়, থাপ্পড়, হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খায়। এদিকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে ভোট করানোর কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন দুপক্ষই। শান্তনু সেনের স্ত্রী নাম না করে নির্মল মাজি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। শান্তনু সেন বলেন, মোটর পার্টসের দোকানদারকে ব্যাজ পরিয়ে ভোট পরিচালনার কাজে আনা হয়েছে। এটা মানা যায় না। এটা ভারতবর্ষের ১৯০০ লোকাল শাখার মধ্যে অন্যতম। এটা নিয়ে আমার কাছে কোনও গুরুত্বই নেই। কিন্তু মোটর পার্টসের দোকানদারকে ব্যাজ পরিয়ে ভোটার পরিয়ে নিয়ে আসার ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অন্যদিকে নির্মল মাজি পালটা বলেন, আগে তিনবার জিতেছি। তবে ধর্ষক, শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকরা এসব করছে। ওরাই বহিরাগত এনেছে। এবারও আমরা প্রচুর ভোটে জিতব। এই জিনিস ৫০ বছরে দেখিনি।