প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছিল। সেই সব মামলার শুনানি ছিল আজ। সেই মামলায় টেট প্রশ্নপত্রের ভুল নির্ধারণ করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হল। মামলাকারী পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, ২০১৭ সালের পরীক্ষায় ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল। এই আবহে ভুল প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে সবাইকে ওই ২১টি প্রশ্নের প্রাপ্য নম্বর দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা একটি বিশেষজ্ঞদের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন। বিচারপতি জানান, টেটের প্রশ্নে ভুল ছিল কি না তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব এই বিশেষজ্ঞ কমিটির। এই কমিটি গঠনের দায়িত্ব আবার দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ওপর। সেই কমিটি আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের বক্তব্য পেশ করবে আদালতের সামনে। আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: VVPAT'র ১০০% ভোট গণꦏনা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ডাকা হল নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের)
আরও পড়ুন: বাবার ১০০% সম্পত্তি যেন সন্তান না পায়, সম্পদ পুনর্বণ্টন নিয়ে বললেন💧 কংগ্রেস নেতা
এর আগে ৯ এপ্রিল টেট মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপ মান্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ওএমআর শিটের তথ্য না পেলে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেবেন। তিনি জানান, সিবিআই যদি টেট সংক্রান্ত ডিজিটাল তথ্য জোগাড় করতে না পারে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের মাধ্যমে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল, তা বাতিল করতে তিনি বাধ্য হবেন। আর তা হলে প্রায় ৬০ হাজার জন চাকরি হারাতে পারেন। (আরও পড়ুন: ২০১৬ প্যানেল বাত💟িলে স্কুলগুলিতে কত💟টা শূন্যতা তৈরি হবে? সামনে বিস্ফোরক পরিসংখ্যান)
আরও পড়ুন: 'যোগ্যদের' কী হবে? চাকরিহারাদের সঙ্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚগে বৈঠক মধ𒉰্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির
প্রসঙ্গত, সোমবারই ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এর জন্যে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার জন। আর দুর্নীতির অভিযোগ ছিল টেট পরীক্ষা নিয়েও। এই আবহে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, তাঁরা ওএমআর শিটের আসল তথ্য হাতে পাননি। তারপরই উষ্মাপ্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচ⛦ারপতি মান্থা। তিনি কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন যে সিবিআইকে ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। উল্লেখ্য, বিচারপতি মান্থা যে ডিজিটাল তথ্যের কথা বলেছেন, সেটার ভিত্তিতেই ২০১৯ সালে এক চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিটের প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছিল। আর পর্ষদও জানিয়েছিল যে ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে ডিজিটাল ভার্সনে পুরোটা সংরক্ষিত আছে। কোথায় এবং কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, সেটাও সিবিআইকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।