সন্দেশখালি নিয়ে স্টিং ভিডিয়ো কার্যত ভোটের মাঝে নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলার রাজনীতির আঙিনাকে। সেই ভিডিয়োতে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে কার্যত এই যে ধর্ষণের অভিযোগ তা অনেকটাই সাজানো। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গও তিনি তোলেন। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচ𝔉াই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি এই ভিডিয়োটা তৃণমূলের ষড়যন্ত্র।
তবে সেই ভিডিয়োকে ঘিরে এবার মুখ খুললেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যবে থেকে এই স্টিং ভিডিয়োটি এসেছে তবে থেকে সন্দেশখালিতে যে মা বোনেরা থাকেন, বাংলার মহিলাদের যে অপমান করা হয়েছে, যেভাবে ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে কিন্তু সেটা অসত্য। আসলে ধর্ষণ নিয়েও বিজেপি নোংরা রাজনীতি করে। মহিলাদের আমরা দোষ দেব না। জমি নিয়ে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। মহিলারা বলেছেন। সেটা নিয়ে আলোচনার মাধ্য়মে সমস্যা মিটে যেত। তারা এটাও জানতেন না যে যেটা লেখানো হচ্ছে তাদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ রয়েছে। এদের সঙ্গে বিজেপির নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। তারাই লিখিয়ে নিল। এই ভিডিয়ো সামনে এল। তারা বলল তাদের কাছ থেকে মিথ্যে করে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা সন্দেশখালি থানায় যেতে শুরু করল। পুলিশকে গিয়ে বলল আমাদের উপর ধর্ষণ হয়েছে বলে যেটা বলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয়। আমরা এটা প্রত্যাহার করে নিতে চাই। বিজেপির নেতারা হুমকি দিচ্ছে তোমাদের খুন করে দেব। কাল বাঁকুড়ায় একটি মিটিং চলছিল। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন। স্থানীয় মহিলারা সন্দেশখালির কথা বলেছিলেন। আর তখনই মহিলাদের গালি দেন শুভেন্দু। মহিলাদের উপর ধর্ষণ হয়েছে বলে যে মিথ্য়া কথা লেখ𝄹ানো হয়েছিল তা অপরাধ। সেই সঙ্গেই এখন মহিলাদের গালি দেওয়া সেটাও ঠিক নয়। বাংলার মহিলাদের য😼েভাবে অপমান করা হচ্ছে সেটা মানা যায় না। ’
রাজনৈতির পর্যবেক্ষকদের মতে, ভোটের ঠিক মাঝপথে সন্দেশখালি ইস্যু কার্যত বিজেপির কাছে গলার কাঁটা হয়ে গেল। ইদানিং বিভিন্ন সভা থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে আর সুর চড়াতে চাইছে না বিজেপি। কার্যত সন্দেশখালি ইস্যু এভাবে বিজেপির কাছেই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে সেটাও বুঝতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্য়েই এক মহিলা অভিযোগ তুলেছেন ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ধর্ষণের যে অভিযোগ করা হচ্ছে স❀েটা পুরো মিথ্য়ে।