ঘরের মধ্যে এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। ওই বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্যের দানা বেঁধেছে হরিদেবপুরে। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘরের মধ্যে থেকে ওই বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগের তির বৃদ্ধার ছোট ছেলে-বৌমার দিকে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরের নবপল্লীতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। পরে মৃত ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা ওই বৃদ্ধার নাম শান্তিসুধা মিরবর (৭৮)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিদেবী ছোটো ছেলে সঞ্জয় ও তাঁর স্ত্রী'র সঙ্গে থাকতেন। তাঁদের বাড়ির কাছেই থাকেন বৃদ্ধার বড় ছেলে সঞ্জীব। এদিন ওই বৃদ্ধার ছোটো ছেলে সঞ্জয় আচমকাই দাদার কাছে গিয়ে জানায়, যে তাদের মা মারা গিয়েছেন। তার কথা শুনে তড়িঘড়ি সঞ্জীব ছুটে যান ছোট ভাইয়ের বাড়িতে। সেখানে পৌঁছে তিনি দেখেন, তাঁর মা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। ঘরের মধ্যে রক্তও পড়ে থাকতে দেখেন দাদা। তারপরেই থানায় খবর দেন সঞ্জীব। হরিদেবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সঞ্জয় ও তাঁর স্ত্রী'কে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কী কারণে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হল, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ছোট ছেলে ও বৌমা শান্তিদেবীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।