গ্রামের রাস্তা বেহাল। তাই সেখানে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। তাই খাটিয়ায় করে মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যায় পরিবারের। সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা খাটিয়ায় রোগীকে নিয়ে যাওয়ায় ধকল হল মারাত্মক। আর পথে মারা গেলেন মা👍লদার বাসিন্দা তথা গৃহবধূ মামনি রায়। হাসপাতালে পৌঁছেও বাঁচানো গেল না। গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা। চরম অমানবিক এই ছবি 𝕴মালদা–সহ সোশ্যাল মিডিয়া সাক্ষী থাকল। তবে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি এই ইস্যুতে লাফালাফি শুরু করতেই আজ, শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এদিকে খাটিয়ায় শুইয়ে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। আর মালদার বামনগোলায় পথেই মামণি রায়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আক্রমণ করতে শুরু করে। আর সেটাই পরে ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। তখন তাঁরা সেই যে চুপ করলেন আর মুখ খুললেন না। এই ঘটনার পিছনে যে বিজেপির হাত রয়েছে সেটা তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। আজ, বিজেপির জন্যই যে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘট⛦না ঘটেছে সেটা তুলে ধরা হয়। এমনকী যে বেহাল রাস্তার ছবি তুলে ধরে বিজেপি নেতারা আক্রমণ করলেন সেটার জন্য তাঁরাই দায়ী প্রমাণ হয়ে গেল।
অন্যদিকে আর এমন প্রমাণ কুণাল ঘোষ সামনে আনতেই গ্রামবাংলার মানুষের সামনে বিজেপি নেতাদের ভাবমূর্তির দফারফা হয়ে গেল। এই গোটা বিষয়ে কুণাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘যেকোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। কিন্তু, বেহাল রাস্তার জেরেই এই মৃত্যু ঘটেছে, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা বিতর্কের বিষয়। আর যদি রাস্তার কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলেও🔯 আমাদের মাথায় রাখতে হবে, সেখানকার সাংসদ বিজেপির, বিধায়ক বিজেপির, এমনকী কিছুদিন আগে পর্যন্ত পঞ্চায়েতও বিজেপিরই ছিল। তাই, রাস্তা সংস্কারেরও দায়িত্ব বিজেপির।’ সরাসরি এই তথ্য বিজেপির কাছে ব্যুমেরাং হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বি🎶শ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেল,🃏 কী বলছেন উপাচার্য?
তবে এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল ঘোষ। বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘কে দায়ী মামণির মৃত্যুর জন্য? বেহাল রাস্তার দায় কার? যে কারণে অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে পারেনি। খাটিয়ায় শুইয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই তরুণীকে। বামনগোলা মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। যেখানের সাংসদ বিজেপির খগেন মুর্মু। ওই এলাকা হব𝓡িবপুর বিধানসভার অন্তর্গত। যেখানের বিধায়ক বিজেপির জুয়েল মুর্মু। এই হল বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের নমুনা। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শুধু গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা দিচ্ছে না, সেটাই নয়, রাজ্য সরকার যে পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের টাকা পাঠাচ্ছে সেটা পকেটস্থ করছে স্থানীয় বিজেপি। ধিক্কার জানাই। কেন স্থানীয় বিধায়ক–সাংসদ তাঁদের তহবিল থেকে রাস্তার কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ করেননি? ওরা ডবল ইঞ্জিন সরকারের কথা বলে। এখানে তো ট্রিপল ইঞ্জিন ছিল। সাংসদ, বিধায়ক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত–সবই ওদের। তারা কেন রাস্তা সারাই করেনি? তারা তাদের ন্যূনতম দায়িত𒀰্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ওরা জনকল্যাণমূলক কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে ভোট চেয়েছিল।’