তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার তলব করেছে ইডি। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার তাঁকে ইডি দফতরে যেতে হবে। তিনি যাবেন কিনা সেটা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তাঁর জন্মদিনেই ইডি নোটিশ পাঠিয়েছে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি দফতরে যাবেন বলে🌜 জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার তলব করা হয়েছে অভিষেককে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা।
আজ, ꦑবুধবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির উদ্দেশে🐻 তোপ দেগেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। অবশ্য আজ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শিশির অধিকারীর সম্পত্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সারদা দুর্নীতির যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন। শশী পাঁজার দাবি, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের উপহার দিয়েছে ইডি মঙ্গলবার রাতে। তৃণমূল কংগ্রেসই হল বিজেপির মূল টার্গেট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ডাক, নবজোয়ার যখন জনজোয়ার হয়েছে তখন ডাক। এখন সামনে লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত অবিজেপি দলগুলিকে ডাকা শুরু হয়েছে।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যতবার ডাকা হয়েছে 🐲ততবার হাজির হয়েছেন তিনি। শশী পাঁজার কথায়, ‘বিজেপিতে যাদের অর্থ–সম্পত্তি বেড়েছে তাদের কোনও নোটিশও দেওয়া হয় না। প্রত্যেকদিন প্রমাণ করছে তদন্তের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হেনস্থা করা হচ্ছে। এখন নতুন যোগ করছে, ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াব। দুর্গাপুজোর মধ্যে দেখা গেল একজন মন🌼্ত্রীকে ডেকে জেলে পাঠাল। সামনে কালীপুজো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কালীপুজো হয়। ফের এখন তলব।’
আরও পড়ুন: রাজ্য বিধান💜সভার শীতকালীন অধিবেশন এগিয়ে আসছে, কবে শুরু হচ্ছে? কতদিন চলবে?
আর কী অভিযোগ মন্ত্রীর? রাজ্যের মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা আজ ধুয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। তিনি বলেন, ‘এটা এমন একটা ইনভেস্টিগেশন যার কোনও শেষ নেই। আগামীকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই যাবেন। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তিনি জনপ্রতিনিধি, আইটি ফাইল আছে। সবটাই পাবলিক ডোমেনে আছে। সামনে নির্বাচন রয়েছে। তার প্রচার থেকে যাতে বিরত থাকেন তার জন্য বিব্রত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করা,বাংলাকে খারাপ করা, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই এটা চলছে।’ সোমবার বিজেপির নেতা–মন্ত্রীদের সম্পত্তি 🉐নিয়ে প্রশ🍰্ন তুলেছিল তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রামেশ্বর তেলি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খাঁ, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও অধিকারী পরিবারের নাম উল্লেখ করে তুলোধনা করা হয়।