আজ মহানবমী। দুর্গাপুজোর আনন্দ চেটেপুটে নিতে রাজপথে মানু𓂃ষের ঢল নেমেছে। আবার পুজোমণ্ডপগুলিতে রাজনীতিবিদরা ধরা দিচ্ছেন হালকা মেজাজে। বলে ফেলছেন নিজের মনের দুঃখের কথা। যা নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। এমনই এক ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ কলকাতার হাজরা পার্কের দুর্গাপুজোয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর এখানেই তিনি জানিয়েছেন নিজের মনের দুঃখের কথা।
ঠিক কী দেখা গেল হাজরা পার্কে? এদিন বর্ষীয়ান রাজনীতিক–মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে অষ্টমীর রাতে দেখা গেল একেবারে হালকা মেজাজে। হাজরা পার্কের পুজোয় আরতি করলেন তিনি। আর দুর্গাপুজোয় দুই নেতার কথা বারবার উঠে এল তাঁর কথায়। আর তাঁদের কথা নিয়ে শোভনদেবের মুখে শোনা গেল দুঃখের কথা। এই দু’জন নেতা হলেন—পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এবং প্রয়াত নেতা সুব্রত মুখোপ🦹াধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়? পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় দু’জনেই কলকাতার দুই বিখ্🥃যাত পুজোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জেলে থাকায় নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো এবার পার্থ ছাড়াই হয়েছে। আর একডালিয়ার পুজো বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়কে। এই পরিস্থিতি নিয়ে শোভনদে♋ব♈ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পার্থর যা হয়েছে তার জন্য দুঃখ হয়। আমি নিজে হাতে ওঁকে রাজনীতিতে এনেছিলাম। আমার খারাপ লাগে।’
আর কী বললেন সুব্রতকে নিয়ে? এখানে তিনি জানান, এবার পুজোয় সবথেকে বেশি𓃲 মনে পড়ছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথা। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির শুরু থেকেই সুব্রতর সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। দুজনে কী কী করেছি বলে শেষ করা যাবে না। বিধানসভা𒁏য় পাশাপাশি বসতাম। তাই বন্ধু সুব্রতকে ভোলা আমার পক্ষে কঠিন। আমাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। দুঃখ হলে আমাকে ডাকত। বলত, মন খুলে কথা বলার মতো কেউ নেই আমি আর তুই ছাড়া।’