অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। এখন আপাতত স্থিতিশীল কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। আজ, বৃহস্পতিবার মদন মিত্র স্বাভাবিক খাওয়া–দাওয়া করেছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে নড়াচড়ায় একটু সমস্যা আছে। কারণ তাঁর বাঁ কাঁধের হাড় জুড়তে আড়াই ইঞ্চি লম্বা টাইটেনিয়াম প্লেট বসানো হয়েছে। যার মধ্যে ১০টি স্ক্রু বসানো আছে। এসএসকেএম হাসপাতালের অস্থিশꦐল্য বিশেষজ্ঞদের তৎপরতায় জুড়েছে কালারফুল নেতার বাঁ কাঁধের হাড়। বুধবার হয়ে গেল সফল অপারেশন। সূত্রের খবর, এখন তাঁকে আইটিইউ’য়ে রাখা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন মদন মিত্র। তবে তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে বলে খবর।
এদিকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মদন মিত্র। তারপর থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই পড়ে গিয়ে কাঁধের হাড়ে চোট পান। এক্স–রে করে দেখা যায় হাড় ভেঙেছে মদন মিত্রের। ব্যস, ত༺ারপর থেকে অনুগামীদের যাতায়াত শুরু হয়ে যায়। কেমন আছেন তাঁদের নেতা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসা করেই ক্ষান্ত হন তাঁরা। তাঁর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল অস্ত্🔴রোপচারের সময়। তাই একঘণ্টা দেরি হয় সফল অপারেশনে। তাঁকে স্থিতিশীল করে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ অ্যানাস্থেসিস্টরা সম্পূর্ণ অজ্ঞান করেন। তার পরই অস্ত্রোপচার হয়। দুপুর ২টোর মধ্যে অস্ত্রোপচার সফলভাবে শেষ হয়। তাঁর জ্ঞান ফেরানো হয়। আর আইটিইউ ২–তে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়।
অন্যদিকে শরীর বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাল যাচ্ছিল না মদন মিত্রের। তারই মধ্যে গত সোমবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে যায়। তখন তাঁকে নিয়ে আꦏসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে ওইদিন শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও বিধানসভায় গিয়েছিলেন মদন মিত্র। যদিও পরে অসুস্থ অবস্থাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়েও একাধিকবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শোনা যায়। নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। পরে ভীষণ কাঁপুনি শুরু হয়। গোটা শরীর কাঁপতে থাকেন। জ্ঞানও হারান। তাঁকে আবার স্বাভাবিক করা হয়।
আরও পড়ুন: একের পর এক সটান শট মারছেন দুই মহিলা বিধায়ক, 🌳রাতে ব্যাডমিন্টন খেলায় লাভলি–ফিরদৌসী
আর কী জানা যাচ্ছে? এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এখন অনেকটা স্থিতিশীল। আইটিইউ’তে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন চিকিৎসকরা। অস্থিশল্য বিশেষজ্ঞ ছাড়াও এদিন অস্ত্রোপচারের সময় ছিলেন কার্ডিওলজিস্ট, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং নেফ্রোলজিস্ট। তবে কবে মদন মিত্রকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে তা নিয়েꦅ কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে সময় লাগবে এটা জানানো হয়েছে। এখন আবার শীত পড়েছে বঙ্গে। তাতে হাড়ের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন মদন মিত্র বলে মনে করছেন অনুগামীরা।