বিধানসভা রক্তাক্ত করার জন্য এবার বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন কামারহাটির𝓰 তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। বিজেপি বিধায়করা দাবি করে আসছেন, তাঁরা আক্রান্ত। মনোজ টিগ্গা গুরুতর আক্রান্ত। আর মদনের দাবি, বিজেপির বিধায়কদের কিছু হয়নি। ‘জাল সার্টিফিকেট’ তৈরি করতে তাঁরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এমনকী এই নিয়ে নাকি চিকিৎসকদের অনু✅রোধও করেছিলেন। মদনের এই বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি।
ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক? ব💞িধানসভায় মারামারি নিয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘বিজেপির বিধায়করা যা করেছেন তাতে ওঁদের পুতিনের হাত থেকে সংবর্ধনা পাওয়া উচিত। বিধানসভার তাণ্ডব নিয়ে রাজ্যের মানুষের কোনও মাথাব্যথা নেই। রাজ্যবাসী রামপুরহাট, ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে সমব্যথী। বিজেপির বিধায়কদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউই ওনারা আহত হননি। পিজিতে গিয়েছিলেন ১৫ জন। জাল সার্টিফিকেট করে দিতে অনুরোধ করেছিলেন। ডাক্তাররা টিটেনাস–ভিটামিন দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। অথচ আমাদের দু’জন হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে শুয়ে আছেন। তবে এটা বিজেপি ঠিক করেনি। এক মাঘে শীত যায় না।’
তাহলে সত্যি কী মনোজ টিগ্গার চোট লাগেনি? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করলেই রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন একটি এক্স–রে’র প্লেট টুইটারে পোস্ট 🐓করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘মনোজ টিগ্গার কোথাও কোনও ‘ফ্র্যাকচার’ হয়নি।’ তিনি নিজে একজ🎃ন চিকিৎসক। সুতরাং এই দাবি প্রমাণ–সহ করার পর বিজেপির অস্বস্তি বাড়ল। আর মদন মিত্রের দাবিতে সিলমোহর পড়ল।
উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে কোনও নোটিশ না দিয়েই রামপুরহাট গণহত্যার বিষয় নিয়ে আলোচনা চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিধানসভার নিয়ম জানিয়ে দেন। আগে নোটিশ আনতে হয়। তারপর তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তা না হলে আলোচনা করা যায় না। তখনই বিজেপি বিধায়করা খেপে গিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। তাতে বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে রক্তাক্ত হয় গণতন্ত্রের পীঠস্থান। তারপরই🍰 বিজেপির পাঁচ বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়।