রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১ কোটি টাকা সাহায্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এই প্রকল্পে মহিলাদের হাতে যে টাকা পৌঁছচ্ছে তা অব্যাহত থাক🦋বে। এবার এই প্রকল্পে যে বিপুল পরিমাণ টাকা রাজ্য সরকার খরচ করেছে তা তথ্য দিয়ে জানিয়ে দিলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরোধীরা নানা কথা বলে থাকেন। কিন্তু আজ, শুক্রবার বিধানসভায় তথ্য দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করে দিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা।
এদিকে এই প্রক♓ল্পে প্রতি মাসে মহিলারা নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচ্ছেন। সাধারণ মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি–উপজাতিদের ১০০০ টাকা করেও দেওয়া হচ্ছে। আগামী এক বছরে এই প্রকল্পের কাজ যাতে চলতে পারে সেটা বজায় রাখতেই এবারের বাজেটে ১ কোটি টাকার সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করে বাংলার মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে মাসিক টাকা পাচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা।
অন্যদিকে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের সংখ্যাটা হল ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন। ২০২১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে বিপুল টাকাও খরচ করেছে রাজ্য সরকার। বিধানসভায় এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে তথ্য দিলেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। সেখানে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৪৯ কোটি টাকা। আর রাজ্য 🍒সরকারের আর এক প্রকল্প রূপশ্রীতে খরচ হয়েছে ৪ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। যা ২০১৮ সাল থেকে চলছে।’ এপ্রিল মাসে জানা গিয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালাতে বছরে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা খরচ ﷽হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাগাড়ে বৃষ♓্টিতে শৈলশহরে নামল ধস, বাড়ি ভেঙে মাটি চাপা পড়ে মৃত ১, দার্জিলিংয়ে আতঙ্ক
আর কী জানা যাচ্ছে? এপ্রিল মাসে জানা ꦚগিয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ১ হাজার ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়। এখন অবশ্য তার থেকে খরচ বেড়েছে। একাধিক প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, বাংলার সঙ্গে বঞ্চনা করে চলেছে মোদী সরকার। একের পর এক কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে এসে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে গেলেও কোনও অনিয়ম খুঁজে পায়নি। বরং কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পুরস্কার পেয়েছে বাংলার প্রকল্পগুলি। বাংলা নিজের খরচেই ১০০ দিনের কাজের মতো বহু প্রকল্প করꦆেছে। আর নিজের খরচে তা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।