শিনজো আবের হত্যার সঙ্গে অগ্নিপথ প্রকল্পের যোগসূত্র টানল জাগো বাংলা। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্রের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্﷽যক্তি জাপানের মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্সে তিন বছর কাজ করেছিলেন। তারপর থেকে কর্মহীন থাকায় জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপর ক্ষোভ জন্মেছিল।
শনিবার জাগো বাংলার প্রথম পৃষ্ঠায় 'শিনজোর খুনে অগ্নিপথের ছায়া' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, 'শিনজোর মৃত্যুতে অগ্নিপথ নিয়ে মানুষের ক্ষোভের কারণ আরও দৃঢ় হল। তার কারণ, হত্যাকারী টেটসুয়া বিনা পেনশনে জাপানের সেনায় কাজ করত। তাৎপর্যপূর্ণ হল, একইভাবে অগ্নিপথ প্রকল্পে সেনা নিযুক্তি করতে চাইছে কেন্দ্র। যা নিয়ে উত্তাল হয় গোটা দেশ। অগ্নিপথে মাত্র সাড়ে𒈔 চার বছরের জন্য (ꦬচার বছর) সেনায় কাজ করার সুযোগ মিলবে। অবসরের পর থাকবে না পেনশন কিংবা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। টেটসুয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা।'
সম্প্রতি ভারতের তিন সুরক্ষা বাহꦯিনীতে নিয়োগের জন্য ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। সেই প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ুসেনা এবং ভারতীয় নৌসেনায় চার বছরের জন্য যুবকদের নিয়োগ করা হবে। চার বছর পর বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ২৫ শতাংশ ‘অগ্নিবীর’-কে। বাকিদের বাহিনীতে চাকরি থাকবে না। তাঁদের মোটা অঙ্কের প্যাকেজ দেওয়া হবে। সেই প্রকল্প নিয়ে ভারতের একাংশে তুমুল বিক্ষোভ হয়। বিরোধিতা করেছে তৃণমূলও। তারইমধ্যে কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, সুরক্ষা বাহিনীতে চাকরির মেয়াদ শেষে অগ্নিবীরদের ব🅷িভিন্ন সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সেই পরিস্থিতিতে জাগো বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তিন বছর কাজ করার পর চাকরি যায় (শিনজোর খুনি🍬র)। তারপর থেকে প্রায় কোনও কাজই সে পায়নি। নিরাপত্তাহীনতা এবং চাকর যাওয়ার কারণে শিনজোর উপর তার ক্ষোভ ছিল বলে জানিয়েছে।’ টেটসুয়ার বয়স ৪১। নারারই বাসিন্দা (যে শহরে জাপানের প্রাক্তন প্রধ🐟ানমন্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে)।
তবে হত্যার কারণ হিসেবে জাপানের সংবাদমাধ্যমে অন্য কথা দাবি করা হয়ꦅেছে। পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে কিয়েডো নিউজে জানানো হয়েছে, আততায়ী জানিয়েছে যে এক ধর্মীয় নেতাকে আক্রমণ করতে চেয়েছিল। যে ব্যক্তি তার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। প্রাথমিকভাবে আততায়ী আবেকে খুন করতেও চায়নি বলে দাবি করেছে। তারইমধ্যে জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আততায়ীর হাতে কোনও কাজ ছিল। 'ক্লান্ত' হয়ে যাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল।