আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন শহর কলকাতার ধর্মতলার প্রাণকেন্দ্রে। আর এই হাইভোল্টেজ সমাবেশ হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফলও ঘোষণা হয়। সেখানে বিজেপি ৪–০ হয়ে হেরে যায়। তখন থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকা🌳রীর বক্তব্যে নানা বিতর্ক দেখা দেয়। বিশেষ করে যাঁরা ভোট দিয়েছেন এবং যাঁরা দেননি তা নিয়ে মতপ্রকাশ করে দলের অন্দরেই কোণঠাসা হন শুভেন্দু। আর এবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে একুশের মঞ্চ থেকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্♎যায়।
এদিন আবার সবার মনে পড়ে যায় শুভেন্দু অধিকারী সবকা সাথ সবকা বিকাশ নিয়ে কী বলেছিলেন। এমনকী সংখ্যালঘু মোর্চা নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু তাতে দলের অন্দরেই সমালোচিত হতে হয় তাঁকে। সেখানে আজ, রবিবার একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন আমরা তাঁদের জন্য কাজ করত▨ে বদ্ধপরিকর। আর যাঁরা আমাদের ভোট দেননি আমরা তাঁদের জন্যও কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা যখন ভোটে নির্বাচিত হয়েছি তখন আমাদের আর কোন ধর্ম নেই। আমাদের একটাই ধর্ম মানব ধর্ম, মানব সেবা।’ কিন্তু ঠিক বিপরীত কথা বলেছিলেন শুভেন্দু।
কয়েকদিন আগে বিজেপির নির্বাচনী পর্যালোচনা ব♑ৈঠক থেকে শুভেন্দু মুসলিমদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। সবকা সাথ সবকা বিশ্বাস না করতে সওয়াল করেন। কারণ মুসলিমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। দলের সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দ😼িতেও বলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘যাঁরা আমাদের ভোট দেয়নি, আমরাও তাঁদের সঙ্গে নেই।’ এই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে এবং বিজেপির সর্বভারতীয়স্তরে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপির মোর্চা সেলের প্রধানও শুভেন্দুর এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। যা তাঁকে হজম করতে হয়েছিল। সেখানে অভিষেকের বক্তব্য, ‘ভোটে জেতার পর তিনি যেই হোন না কেন, ভোট দিক বা না দিক, জনপ্রতিনিধির উচিত এলাকার প্রত্যেকটি নাগরিকের আপদে বিপদে পাশে থাকা।’
আরও পড়ুন: ‘🍃আপনাকে আর কষ্ট করতে হবে 🐻না’, মধুমেহ আক্রান্ত দাদা শান্তনুকে খোঁচা বোন মধুপর্ণার
এভাবেই নাম না করে শুভেন্দু অধি𒀰কারীকে খোঁচা দিয়েছেন অভিষেক। একইসঙ্গে তাঁর কথায়, ‘যাঁরা বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে দেব, লোকসভা নির্বাচনে হারিয়ে সরকার ফেলে দেব, তৃণমূল কংগ্রেস উঠে যাবে—তাঁরা এখন শিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন। বাংলার মানুষ তাঁদের জবাব দিয়ে দিয়েছেন। তবে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। নেতা–কর্মীদের আরও নমনীয় হতে হবে। যাঁরা ভোট দেননি তাঁদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপির নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে মানুষকে নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত, অবহেলিত করে গরিব মানুষের ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করেছে। মানুষ তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছেন। আমাদের দম্ভ, ঔদ্ধত্য, অহংকার নেই।’