কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আবাস যোজনা’র বাড়ি মেলেনি। তাই মাটির বাড়িতেই দিন কাটাতে হচ্ছে মানুষজনকে। এই আবহে নিম্নচাপের বর্ষায় মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে গিয়ে 🍎শনিবার বাঁকুড়ায় তিনজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলে নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে কল♎কাতা বিমানবন্দরে সোচ্চার হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ এবং ৩ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেকের সঙ্গে আছেন বাঁকুড়ার মৃত ৪ জন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা কেন পাচ্ছেন না? সেটা নিয়ে রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই এবার এই বিষয়টিও নয়াদিল্লির দরবারে নিয়েꦬ যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাঁকুড়ার সন্তানহারা ওই বাবাদের পাশে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজের বিমানেই তাঁদেরকে নিয়ে নয়াদিল্লি রওনা হলেন। দমদম বিমানবন্দরে তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপির হাতে রক্ত লেগে আছে।’ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে রোহন সর্দার (৫), নিশা সর্দার (৪) এবং অঙ্কুশ সর্দার (৩)। প্রত্যেকে একই পরিবারের সন্তান। আজ যদি সঠিক সময়ে আবাস যোজনার বাড়ি এই পরিবার পেত তাহলে এমন মর্মান্তিক মৃত্যু দেখতে হতো না বলে মনে করেন অভিষেক।
অন্যদিকে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা মিথ্যে অভিযোগ লিখে একশো দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্ꦜরের আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে ওঁরা সন্তানদের হারিয়েছেন। সেই শোক সামলে আমার সঙ্গে ওঁরা যোগাযোগ করেছেন। এক কাপড়ে বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় এসে দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। গ্রামের গরিব ম♍ানুষের প্রতি বঞ্চনায় তাঁরাও সামিল হবেন। আমি নিজে তাঁদের বিমানে নিয়ে যাচ্ছি। জীবন শুরুই হল না, সেইসব শিশুর মৃত্যু ঘটল। এই মৃত্যুর দায় কার? আবাসের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।’ তাই তাঁদের হাতে রক্ত লেগে আছে বলে কটাক্ষ অভিষেকের।
আরও পড়ুন: ‘বিধায়কদের𓄧 বেতন বাড়াচ্ছেন, চা–শ্রমিকদের টাকা দিচ্ছেন না’, মমতাকে আক্রমণ স্মৃতির
আর কী বলেছেন অভিষেক? রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধনা 𒁃করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে যাঁরা বারবার বাংলার টাকা আটকানোর কথা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। গ্রেফতার করা হোক সবাইকে। এমনকী গিরিরাজ সিংকেও গ্রেফতার করা উচিত। যাঁরা বাংলার মানুষের প্রাপ্য আটকানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের হাতে রক্ত লেগে আছে। আমি রাজ্য প্রশাসনকে বলছি গোটা ঘটনার তদন্ত করতে। অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে আমাদের সাংসদরা নয়াদিল্লিতে গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু দফতরে থেকেও আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি মন্ত্রী। গত দু’বছরের ঘটনা ♛প্রমাণ করে গায়ের জোরে বাংলার মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। আর এখন বিজেপি সাংসদদের ডেকে পাঠিয়েছেন। স্পষ্ট হচ্ছে উনি কাদের কথায় পরিচালিত হচ্ছেন।’